পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের নিয়োগের বিরোধিতা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় তোপের মুখে পড়েছিলেন পটুয়াখালী-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনি। তার ওই স্ট্যাটাসে ক্ষোভে ফেটে পড়েন নেটিজেনরা। তারা রনির মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন।
ওই ঘটনার পর সম্প্রতি রনির সমালোচনা করে একটি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ইউটিউবার ও বাংলাদেশি সাংবাদিক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন। সেখানে রনির বিরুদ্ধে সাংবাদিককে মারধর, রাজনৈতিক দল পরিবর্তন, আওয়ামী লীগের এমপি হওয়ার পর দুর্নীতি, অনিয়ম ও অন্যের জায়গা দখলের অভিযোগ আনেন প্রবাসী এই সাংবাদিক।
ইলিয়াসের ওই ভিডিওটি নজরে আসলে পরদিন ৩১ আগস্ট নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দেন গোলাম মাওলা রনি। সেখানে ইলিয়াসের কোনো অভিযোগের জবাব দেননি রনি। তবে নাম বিকৃত করায় ইলিয়াসের বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে বিচার চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক এই এমপি।
রনির ফেসবুক স্ট্যাটাসের পর নেটিজেনরা তার সমালোচনা শুরু করেন। তারা রনিকে ইলিয়াসের অভিযোগগুলোর যুক্তি খণ্ডনের আহ্বান জানান।
গোলাম মাওলা রনির উদ্দেশে আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে একজন লেখেন, ‘সাংবাদিক ইলিয়াসের ওই রিপোর্টের অভিযোগগুলোর যুক্তি খণ্ডন করুন, নইলে পণ্ডিতগিরি বাদ দিন’।
আরো পড়ুন – পটুয়াখালীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই
আল মামুন নামের আরেকজন লিখেছেন, ‘নামের ভুলটাই চোখে পড়ল। আপনার ব্যাপারে বিভিন্ন অভিযোগ করল, পারলে সেগুলো খণ্ডন করুন’।
ফিরোজ আকন্দ বলেছেন, ‘খালি বিচার দিলে হবে। উনি (ইলিয়াস) যে বিষয়গুলো উত্থাপন করেছেন, সে সব বিষয়গুলোতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করতে হবে। তারপর অভিশাপ দিতে হবে’।
সুমাইয়া সিদ্দিকা বলেছেন, ‘বাহ, শুধু নাম বিকৃত ছাড়া তার আর কোনো অভিযোগ নেই। মানে বুঝতে পারছেন সবাই। ওগুলো সবই সত্য, তাই উনার আর কী করার আছে। (শকুনের অভিশাপে গরু মরে না)’।
মমিনুর রশিদ লিখেছেন, যতকিছুই হোক, রনি ভাই কিন্তু আওয়ামী লীগকে মিস করেন। কারণ তিনি কট্টর আওয়ামীপন্থি।
নুরুদ্দিন রিয়াজ বলেছেন, দেশ স্বাধীন করেছেন ছাত্র-জনতা, তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন কে ভিসি পদে থাকবে আর কে নিয়োগ পাবে। আপনি মানার কে? আর না মানারই বা কে? আপনি আওয়ামী লীগই রয়ে গেলেন। মানুষ আর হতে পারলেন না।
উল্লেখ্য, রনি এক সময় আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগকে বিভিন্ন খারাপ কাজের সঙ্গে জড়িত করে দল ছাড়েন। পরে বিএনপির হয়ে জাতীয় নির্বাচন করেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন টকশোতে আওয়ামী লীগের ব্যাপক সমালোচনাও করেন তিনি। এছাড়া পত্র-পত্রিকায় এ সম্পর্কিত তার অনেক কলাম ছাপা হতো। যে কারণে সাধারণ মানুষের কাছে রনি অনেক জনপ্রিয় পেয়ে ছিলেন।