শিরোনাম

যে কারণে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে তেলবাহী দুই জাহাজ

Views: 20

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: বয়সের ভারে আগেই চলাচলে সক্ষমতা হারিয়েছে তেলবাহী জাহাজ ‘বাংলার জ্যোতি’ ও ‘সৌরভ’। সম্প্রতি বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে একেবারে অকেজো হয়ে পড়ায় এই দুই জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) এগুলো বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, জাহাজ দুটি বিমার আওতায় থাকলেও ‘বাংলার জ্যোতি’র জন্য ক্লাসিফিকেশন বা সার্ভে কাভারেজ নেই। দুর্ঘটনার পর দুটি জাহাজ অকেজো হয়ে যাওয়ায় তেল পরিবহনের জন্য এক মাসের জন্য একটি ট্যাংকার ভাড়া করা হয়েছে, যার দৈনিক খরচ ২৬ হাজার ডলার। ভাড়া করা জাহাজটির মেয়াদ শেষ হতে চলায় নতুন জাহাজ ভাড়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।

বিপিসির এসপিএম প্রকল্প চালুর আগে আরেকটি জাহাজ ভাড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মাহমুদুল মালেক জানান, জাহাজ দুইটির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে জাহাজের বিক্রির সকল প্রস্তুতি নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী জানিয়েছেন, বিমার ক্ষেত্রে দুই ধরনের সিস্টেম রয়েছে—টোটাল লস এবং কনস্ট্রাকটিভ টোটাল লস। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে মালিকপক্ষ জাহাজটি বিক্রি করে কিছু রিকাভারি করতে পারবেন।

গত অর্থবছরে ‘জ্যোতি’ ও ‘সৌরভ’ বহির্নোঙর থেকে ইস্টার্ন রিফাইনারী পর্যন্ত তেল বহন করে আয় করেছে ১শ’ ৩ কোটি টাকা, যেখানে রক্ষণাবেক্ষণসহ মোট ব্যয় ৫৫ কোটি টাকা। কিন্তু জাহাজগুলো পুরনো হওয়ায় বিএসসি ভাড়া জাহাজে বেশি লাভ দেখছে।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর ও ৪ অক্টোবর জাহাজ দুটিতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *