দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে ছিল এটি। রাকিবের প্রথম স্ত্রীর সংসারে দুইটি সন্তানও ছিল। অন্যদিকে পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর রাকিবকে বিয়ে করেন মাহি। যে কারণে শোবিজাঙ্গনে এই নায়িকার বিয়ে নিয়ে তখন কম আলোচনা হয়নি।
তবে শুরু থেকেই কখনো রাকিবের সঙ্গে প্রেম বা বিয়ে নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বললেননি মাহিয়া মাহি। দুজনের কিছু ছবিকে কেন্দ্র করে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল, সেই গুঞ্জনে ঘি ঢেলে একে অপরের গলায় মালা দিয়ে সংসার শুরু করেন।
তবে মাহি-রাকিবের সেই সংসার দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বছরখানেকের ব্যবধানে আলাদা হয়ে যান এই জুটি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে হঠাৎই রাকিবের সঙ্গে বিচ্ছেদের খবর দেন অভিনেত্রী। কারণ স্পষ্ট না করলেও প্রাক্তন স্বামীর প্রতি সম্মান থাকবে বলেও জানান তিনি।
তবে সম্প্রতি রাকিবকে নিয়ে মাহির একটি সাক্ষাৎকারের অংশ ভাইরাল হয়েছে। যেখানে এই নায়িকাকে বলতে শোনা গেছে, কীভাবে রাকিবের সঙ্গে তার পরিচয় থেকে বিয়ে।
মাহি বলেন, ওর (রাকিব সরকার) ও আমার মধ্যে শুধু বন্ধুত্ব ছিল। আমাদের ৮/৯ জনের একটি গ্রুপ আছে। আমার বেস্ট ফ্রেন্ড হচ্ছে ওর ফ্রেন্ড। এ রকম আমাদের কমন বন্ধুদের একটি গ্রুপ ছিল। সেই গ্রুপে প্রায়ই ওর সঙ্গে আমার দেখা হতো। এমনকি যেকোনো গেট টুগেদারেও।
মাহি আরও বলেন, আমি-রাকিব ও গ্রুপের সবাই মিলে মজার উদ্দেশে ছবি তুলে ফেসবুকে দিলাম। রাকিবকে যারা পছন্দ করত, তাদের জেলাসের জন্য। কিন্তু ছবি পোস্টের পর রাকিব ও আমাকে নিয়ে নিউজ করে সবাই। আর নিউজ হওয়ার পর সমস্যা শুরু হয়েছিল ওর পরিবারে।
মাহি বলেন, যখন দেখলাম নিউজ হচ্ছে, তখনই চিন্তা করলাম, রাকিব যেহেতু সিঙ্গেল, আর আমিও সিঙ্গেল। চলো, বিয়েটা করে ফেলি। আর বিয়ের পরই প্রেম শুরু হয়েছিল আমাদের।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহিয়া মাহি। তার সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ রাকিব সরকারকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। কিন্তু দাম্পত্য জীবনের আড়াই বছর মাথায় আলাদা হয়ে যান এই দম্পতি।