মো:আল-আমিন,পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল করে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ পান ১৫ জন শিক্ষক কর্মচারী। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সশরীরে উপস্থিত হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৯ মে ও ২০ জুলাইয়ের যেকোনো সময়ে খালগোড়ায় অভিযুক্ত কামরুজ্জামানের ভাড়া বাসায় আসামিরা একত্রিত হয়ে অধ্যক্ষের জাল স্বাক্ষরের মাধ্যমে আবেদনপত্র তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেন। চাকরি বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৫টি নন ক্যাডার পদে ১১টি স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে আবেদন করা হয়। এমনকি অধ্যক্ষর অনুমতি বিহীন সীলমোহর তৈরি করে সিল মারা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সরকারি রাঙ্গাবালী কলেজে ১৫ জনকে অস্থায়ীভাবে রাজস্ব খাতে নিয়োগের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর অস্থায়ীভাবে রাজস্ব খাতে নিয়োগের অফিস আদেশ জারি করে এবং অধ্যক্ষকে এড়িয়ে তারা যোগদান করেন। যা ২০১৮ সালের চাকরি বিধিমালাবহির্ভূত।
তাদের এহেন বেআইনি যোগদানের জন্য চলতি বছরের ১৫ অক্টোবর অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম অত্র কলেজে আয়ন ব্যয়ন কর্মকর্তা এবং কলেজ সংশ্লিষ্ট যাবতীয় কর্মকাণ্ডের আর্থিক লেনদেন পরিচালনার অফিস আদেশ প্রাপ্ত হন। যা সম্পূর্ণ বেআইনি। অত্র কলেজে উপাধ্যক্ষর পদ না থাকা সত্ত্বেও অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম নিজেকে উপাধ্যক্ষ হিসেবে বিভিন্ন সময়ে পরিচয় দেন এবং এ সংক্রান্ত ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে কলেজের বহু ক্ষতি সাধন করছেন বলে অভিযোগকারী অধ্যক্ষ মু. তারিকুল হাসান জানান।
অধ্যক্ষ মু. তারিকুল হাসান আরো জানান, অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম গত ২৯ অক্টোবর তার অফিস কক্ষে এসে কলেজের পরিচালনা কাজে বাধা দেন এবং শারীরিক লাঞ্ছনার ভয়ভীতি দেখান। যার ফলে তিনি আদালতে বিচার প্রার্থনা জন্য মামলা করতে বাধ্য হন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি অধ্যক্ষর স্বাক্ষর জাল করার বিষয়টি সত্য নয় বলে জানান। অধ্যক্ষকে এড়িয়ে যোগদানপত্র দাখিলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মোবাইল বন্ধ করে দেন।