শিরোনাম

রাঙ্গাবালীর চর হেয়ার পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াবে

Views: 47

মো: আল-আমিন (পটুয়াখালী): বঙ্গোপসাগরের বুক চিরে জেগে ওঠা চরটিতে রয়েছে পাখপাখালির অবাধ বিচরণ আর লাল কাঁকড়ার ছোটাছুটি। সেই সাথে রয়েছে ঝাউবাগান। প্রকৃতির এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের দেখা মেলে পটুয়াখালীর চর হেয়ার দ্বীপে। এখানে হতে পারে পর্যটনের নতুন আকর্ষণ।

সাদা বক, পানকৌড়ি, বালিহাঁস ও গাংচিলসহ নানা পাখিদের অবাধ বিচরণ এ দ্বীপে। পাখা মেলে মুক্ত আকাশে এদের ওড়াউড়ি আর সমুদ্রের পানিতে খুনসুটি। গর্ত থেকে বের হয়ে আবার ঢুকে পড়া, এমন লুকোচুরিতে ব্যস্ত লাল কাঁকড়া। কখনো আবার দল বেঁধে বালিয়াড়িতে ছুটোছুটি।

প্রকৃতির এমন মনমাতানো রূপের দেখা মিলবে রাঙাবালী উপজেলার চর হেয়ারে।

শত বছর আগে বঙ্গোপসাগরের বুক চিরে জেগে ওঠা ডিম্বাকৃতির এ দ্বীপটির চারদিকে তিন কিলোমিটার বালুকাময় সমুদ্রসৈকত। আর মাঝখানে সারি সারি ঝাউবাগান। সৈকতে দাঁড়িয়ে দেখা যায় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত।

দ্বীপটির পরই বঙ্গোপসাগরের বিশাল জলরাশি। আর পশ্চিম পাশেই রয়েছে জাহাজমারা সমুদ্রসৈকত। দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এ সৈকতটি পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান হতে পারে।

এখানে ঘুরতে এসে মুগ্ধ পর্যটকরা বলেন, এখানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে ভালো লাগছে। এখানে দেখার মতো অনেক কিছু রয়েছে। অতিথি পাখি, লাল কাঁকড়া আমাদের মুগ্ধ করেছে। এখানে কোনো প্লাস্টিক বর্জ্য নেই।

এদিকে চর হেয়ারকে ঘিরে আধুনিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে নানা পরিকল্পনার কথা জানালেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী। পটুয়াখালী-৪ সংসদ সদস্য (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী) অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমান মহিব বলেন, জাহাজমারা এবং চর হেয়ার পর্যটন বিকাশের জন্য একটি সুন্দর এলাকা।

জাহাজমারা এমন একটি এলাকা যেখানে সূর্যাস্ত ও সূর্যোয়ের পরিপূর্ণতা একসঙ্গে দেখা যায়। এ ছাড়া চর হেয়ার বনাঞ্চলে ঘেরা খুবই অনিন্দ্য সুন্দর। ভবিষ্যতে জাহাজমারা ও চর হেয়ারকে সংযুক্ত করার আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সাথে পর্যটনের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করাও। ইতোমধ্যে জাহাজমারা রাস্তা বরাবর উন্নয়ন কাজ চলছে। ভবিষ্যতে এ দুই অঞ্চলের পর্যটনের বিকাশের স্বার্থে আমরা অবকাঠামো বিকাশের ব্যবস্থা নিয়েছি।

ইতোমধ্যে জাহাজমারা সমুদ্রসৈকতে বিভিন্ন এনজিও ও বেসরকারি সংস্থাগুলো উন্নয়নমূলক কার্যক্রম শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, দ্বীপটিতে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম রাঙ্গাবালী থেকে ২০ কিলোমিটার নৌপথ। স্পিডবোট বা ট্রলারযোগে এখানে পৌঁছাতে হবে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *