চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: আগামী দুই-এক দিনের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ অথবা পদত্যাগ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। কোন প্রক্রিয়ায় তাকে অপসারণ করা হবে, তা নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা চলছে।
সরকারের সূত্র জানায়, দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি নিজে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলেই ভালো হয়। আবার সরকারের পক্ষ থেকেও পদত্যাগের জন্য চাপ দেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করলে সম্ভাব্য পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়েও ভাবছে সরকার। বিষয়টি নিয়ে বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতামতও নিচ্ছে সরকার। আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলেও তার কোনো দালিলিক প্রমাণ তার কাছে নেই। এরপরই দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল গত সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যে বলেছেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি, এটা মিথ্যাচার এবং ওনার শপথ লঙ্ঘনের শামিল।’
রাষ্ট্রপতির বক্তব্য নিয়ে মত দিয়েছেন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহসহ অনেকেই। তারাও রাষ্ট্রপতির পদে থাকার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
গত সোমবার রাষ্ট্রপতির সেই সাক্ষাৎকার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পরপরই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তার পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। মঙ্গলবার রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়।