পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের আমড়াজুড়ি সুইচগেট থেকে রহমান খান এর বাড়ি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি করে অল্প কিছু কিছু জায়গায় বালু ফেলে রাখা হয়েছে। প্রায় ছয় মাসের বেশি সময় ধরে ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে সড়ক এভাবে ফেলে রাখায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ঐ গ্রামের প্রায় ছয় হাজার মানুষ।
কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের গাবুয়া গ্রামের গ্রামীণ এই সড়কটি কার্পেটিং করার জন্য খুঁড়ে রেখে উধাও হয়ে যায় ঠিকাদার। রাস্তা খোঁড়ার ফলে কোন ধরনের যান চলাচল করতে পারছে না এতে চলাচলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে গ্রামের সাধারণ মানুষসহ কোমল মতি শিক্ষার্থীদের।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় সড়কটির এমন চরম দুরবস্থা।
স্থানীয় ভুক্তভোগী জনগণ জানায়, দীর্ঘদিন আগে রাস্তাটিতে কাজ শুরু করে রাস্তা খুঁড়ে রেখেছেন ঠিকাদার। কাজ শেষ তো দূরের কথা তাকে এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রাস্তার বেড কেটে রাখায় এতে পানি জমে চরম ভোগান্তি হচ্ছে গ্রামবাসীর। এ সড়ক দিয়ে অটোরিকশাসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আগে হাঁটা গেলেও এখন পানি জমে থাকায় রাস্তায় স্বাভাবিকভাবে হাঁটা যাচ্ছে না।
আরো পড়ুন : পটুয়াখালীতে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস থেকে জানান হয়, নন-মিউনিসিপাল প্রকল্পের আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৮৪ লাখ ৬২ হাজার ৮৫০ টাকা ব্যয়ে রাস্তাটি নির্মাণের কাজ পান বাউফল উপজেলার মেসার্স আব্দুল বারী এন্টারপ্রাইজ। তার কাছ থেকে কাজটি ক্রয় করেন রিয়াজ নামের পটুয়াখালীর এক ঠিকাদার। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও মাটি খোঁড়াখুড়ি ছাড়া আর কিছুই হয়নি।
ক্রয়কৃত ঠিকাদার রিয়াজ মুঠোফোনে বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই তিনি কাজ শুরু করবেন বলে জানান।
উপজেলা প্রকৌশলী আলমগীর বাদশা বলেন, মানুষের ভোগান্তি দেখলে আমাদেরও কষ্ট লাগে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জরুরি ভিত্তিতে কাজ শেষ করার তাগেদা দেয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই রাস্তার নির্মাণ কাজ শুরু হবে।