শিরোনাম

রিজার্ভের পতন থেমেছে, ডলার বাজার স্থিতিশীল

Views: 13

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বাড়ায় দেশের রিজার্ভ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটেছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রবাসীরা গত আগস্ট মাস থেকে বৈধ চ্যানেলে বেশি পরিমাণ আয় পাঠাচ্ছেন। তাতে এ খাতে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। একই সঙ্গে আমদানি ব্যয় হ্রাস পাওয়া ও বাড়তি বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতির ফলে বহিস্থ খাতে কিছুটা স্বস্তি মিলছে। সব মিলিয়ে বিনিময় হারে একধরনের স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে বলে আর্থিক খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি, খাদ্যমূল্য ও পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। এতে বাংলাদেশে আমদানি খরচ বেড়ে যায়, শুরু হয় ডলারের সংকট। ডলারের এই সংকটে ওলট–পালট হয়ে যায় দেশের প্রায় সব আর্থিক সূচক। ব্যবসা–বাণিজ্যও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সংকট মোকাবিলায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে একসময়ের ৪৬ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ কমে প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে। একপর্যায়ে প্রকৃত বা ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ১৩ বিলিয়ন ডলারে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসে। বাড়তে থাকে প্রবাসী আয়। আমদানিও কিছুটা কমে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল হতে শুরু করে। রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি একেবারেই বন্ধ করে দেওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের পতন থেমেছে। ব্যাংকে এখন ডলার ১২০ টাকা ও খোলাবাজারে ১২২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে সরকারি পরিসংখ্যানে মূল্যস্ফীতি কমে এলেও মুরগি, ডিম ও সব ধরনের সবজি উচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে মানুষের কষ্ট বেড়েছে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *