শিরোনাম

রেকর্ড গড়ে সিডনির স্বর্ণ

Views: 27

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : অলিম্পিকে একের পর এক রেকর্ড ভেঙেই চলেছেন আমেরিকার ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের তারকা সিডনি ম্যাকলাফলিন-লেভরোন। ৪০০ মিটার হার্ডলসে বিশ্বরেকর্ড গড়ে স্বর্ণ পদক জিতেছেন এই অ্যাথলেট। প্রথম নারী অ্যাথলেট হিসেবে অলিম্পিকের এই ইভেন্টে দুটি স্বর্ণপদক জয় করে সর্বকালের সেরাদের তালিকায় নিজের নাম আরও সুসংহত করলেন ২৫ বছর বয়সী।

বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন নেদারল্যান্ডসের ফেমকে বোলকে পেছনে ফেলে ৫০.৩৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে এবারের অলিম্পিকেও ৪০০ মিটার হার্ডলসে স্বর্ণপদক জিতেছেন ‘সুপার সিড’ নামে সুপরিচিত এই অ্যাথলেট। গত ২০২০ টোকিও অলিম্পিকেও এই ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতে চমক দিয়েছেন তিনি। ৪০০ মিটার রিলেতেও স্বর্ণপদক জয়ের ব্যাপারে দৃঢ়প্রত্যয়ী আমেরিকান রেকর্ড-কন্যা সিডনি। যদি এই ইভেন্টেও চ্যাম্পিয়ন হন তা হলে নতুন করে ইতিহাসে নাম লেখাবেন তিনি।

৭ আগস্ট ২৫ বছরে পা দিয়েছেন সিডনি। জন্মদিনের পর দিনই ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম লেখালেন এই নারী অ্যাথলেট। যে কোনো ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের ইভেন্টে পঞ্চম আমেরিকান হিসেবে টানা অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ের রেকর্ড গড়েছেন ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি উচ্চতার এই স্প্রিন্টার।

এবারের অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ের পথে নিজের গড়া রেকর্ডই ভেঙেছেন সিডনি। গত জুনে ইউজেনিতে অলিম্পিক ট্রায়ালে ৫০.৬৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন। এবার সেই টাইমিং ছাড়িয়ে গেলেন। ২০২১ সালের পর এ নিয়ে ছয়বার বিশ্বরেকর্ড ভাঙলেন। ট্র্যাকের প্রথম অ্যাথলেট হিসেবে একই ইভেন্টে চারবার বিশ্বরেকর্ড ভাঙার কীর্তিও রয়েছে তার। ৪০০ মিটার হার্ডলসে প্রথম নারী অ্যাথলেট হিসেবে ৫২ সেকেন্ড ও ৫১ সেকেন্ডের কমেও তিনিই প্রথম দৌড় শেষ করেন। অলিম্পিকে বাজিমাত করা সিডনি মেয়েদের ৪০০ মিটারে সর্বকালের সেরা হার্ডার হিসেবে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে যাচ্ছেন।

তিনি জানান, প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে লড়াই করেই এগিয়ে যেতে হয়। সামনে যদি ব্যারিয়ার অর্থাৎ হার্ডল থাকে, আর সেখানে মনোসংযোগ দেওয়ার যদি দরকার হয় তাহলে এটা কোনো ব্যাপার নয়। ওই জায়গায় মনোযোগ ছিল তার। যতটা সম্ভব দক্ষতার সঙ্গে ১০টি হার্ডল পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। প্রতিবারই টাইমিং কমানোর চেষ্টায় থাকেন সিডনি।

তিনি আরও জানালেন, সব সময়ই উন্নতির জায়গা থাকে। পারফেক্ট রেস বলে কিছু নেই। তবে ধীরে ধীরে ৪৯ সেকেন্ডে নামিয়ে আনা সম্ভব। ইঞ্চি ইঞ্চি করে সেদিকে এগোতে হবে। পায়ের সামর্থ্য তৈরি করে সেখানে পৌঁছাতে হবে।

রাইডার বিশ্ববিদ্যালয়ের হল অব ফেমেও সিডনির নাম আছে। তার মা মেরি ম্যাকলাফলিনও ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের অ্যাথলেট ছিলেন। কার্ডিনাল ও’হারা হাইস্কুলে থাকতে দৌড়েছেন তিনি। ১৭ বছর বয়সে ২০১৬ রিও অলিম্পিকে সাফল্যের খোঁজে যাত্রা শুরু হয়েছিল তার। এক দশকের কম সময়ের মধ্যে সেই সিডনি এখন অলিম্পিকের তিনটি স্বর্ণজয়ী অ্যাথলেট।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *