শিরোনাম

রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য ‘প্লে উইথ এ পারপাস’ কর্মশালা

Views: 5

শুধু স্বাভাবিক সময়ে নয়, দুর্যোগ ও মানবিক বিপর্যয়ের পরিস্থিতিতেও শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ নিশ্চিত করা সমান জরুরি। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কক্সবাজারে বসবাসরত মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য ‘প্লে টু লার্ন’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সিসেমি ওয়ার্কশপ, ব্র্যাক, আইআরসি এবং নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায়। সিসেমি ওয়ার্কশপ হলো যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা এবং জনপ্রিয় শিশুতোষ টেলিভিশন সিরিজ সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।

‘প্লে টু লার্ন’ প্রকল্পের সার্বিক চিত্র তুলে ধরতে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) কক্সবাজারে আয়োজন করা হয় একটি কর্মশালা, যার শিরোনাম ছিল ‘প্লে উইথ এ পারপাস’। সরকারি-বেসরকারি এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় দেড় শতাধিক প্রতিনিধি কর্মশালায় অংশ নেন। দিনব্যাপী এই কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, এবং সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।

কর্মশালায় আলোচনা হয়, যেকোনো দুর্যোগ বা মানবিক বিপর্যয়ের সময় শিশুদের প্রারম্ভিক বিকাশকে অতি জরুরি সেবা হিসেবে গণ্য করার বিষয়ে। এতে উল্লেখ করা হয়, সিসেমি ওয়ার্কশপ দুটি রোহিঙ্গা শিশু চরিত্র—নূর ও আজিজ তৈরি করেছে, যা রোহিঙ্গা শিশুদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই দুটি চরিত্রকে কেন্দ্র করে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষামূলক ভিডিও কন্টেন্ট রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং সেগুলো ক্যাম্পে ব্র্যাকের প্লেল্যাব, ইউএনএইচসিআর এবং অন্যান্য সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে প্রদর্শন করা হচ্ছে।

এছাড়া, প্রকল্পটি ১২টি গল্পের বই বার্মিজ, ইংরেজি এবং বাংলা ভাষায় প্রকাশ করেছে, যা কক্সবাজারের ১৪টি সংস্থার শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে বিতরণ করা হয়েছে। প্রায় দুই লক্ষ শিশু এসব বই ব্যবহার করছে। সেই সঙ্গে শিশু বিকাশের জন্য বিশেষ হোমকিট এবং অভিভাবক ও শিশু যত্নকারীদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে।

ছয় বছর ধরে চলমান ‘প্লে টু লার্ন’ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৮ লক্ষ রোহিঙ্গা শিশু, অভিভাবক ও শিশু যত্নকারী সরাসরি উপকৃত হয়েছেন। গবেষণায় দেখা গেছে, এই প্রকল্পের আওতাধীন ৭০ শতাংশ শিশুদের সার্বিক বিকাশ সাধিত হয়েছে, ৯১% শিশুর মানসিক বিকাশ হয়েছে এবং ৯৬% শিশু যত্নকারী ও অভিভাবকরা শিশুদের প্রতি আরও বেশি যত্নশীল হয়েছেন।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *