শিরোনাম

লবণাক্ত জমিতে কেনাফ চাষে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত

Views: 8

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পাখিমারা গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলামসহ কয়েকজন কৃষক কেনাফ চাষে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন। এটি পাটের বিকল্প একটি আঁশজাতীয় ফসল, যা লবণাক্ত জমিতে ভালো ফলন দেয়।

বরিশাল বিভাগের চার জেলায় প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর লবণাক্ত জমি বছরের অধিকাংশ সময় পতিত থাকে। এসব জমিকে ফসলি জমিতে পরিণত করতে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) উদ্যোগ নিয়েছে কেনাফের আবাদ সম্প্রসারণের।

২০২৩ সালে বিজেআরআই-এর বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করেন লবণসহিষ্ণু ও জলবায়ু-সহনশীল কেনাফের নতুন জাত। কেনাফ ফসলটি জলোচ্ছ্বাসসহ বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও টিকে থাকতে সক্ষম এবং পাটের তুলনায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি।

পটুয়াখালীর পাখিমারা গ্রামের শহিদুল ইসলাম জানান, ২০ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলক কেনাফ চাষ করে প্রতি শতাংশে ১২ কেজি আঁশ উৎপাদন সম্ভব হয়েছে। প্রথম সফলতার পর তিনি বীজ উৎপাদনের জন্য কেনাফের আবাদ করেছেন। জানা গেছে, ধানের তুলনায় কেনাফ চাষে খরচ কম এবং লাভ বেশি।

পটুয়াখালীর পাট গবেষণা উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আফলাতুন কবির বলেন, “কেনাফ চাষ সম্প্রসারিত হলে উপকূলীয় প্রায় ১০ লাখ হেক্টর অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আসবে।” একইসঙ্গে এটি মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে এবং লবণাক্ততা কমাবে।

লবণাক্ততা, খরা ও অপ্রত্যাশিত বৃষ্টি সহনশীল। রোগবালাই প্রতিরোধক্ষমতা বেশি। পাটের চেয়ে ফলন বেশি ও পরিচর্যার খরচ কম। এই সম্ভাবনাময় উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে উপকূলীয় কৃষিতে এক নতুন যুগের সূচনা হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

“মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম”

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *