শিরোনাম

লিভারের চর্বি কাটাতে কি করতে হবে?

Views: 58
চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক:  অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে অনেকেই ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভোগেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, লিভারের উপর এমনিতেই স্বাস্থ্যকর চর্বির একটি আস্তরণ থাকে, তবে এর উপরে যদি আবারও অতিরিক্ত চর্বি জমতে শুরু করে তাহলে তা ফ্যাটি লিভার হিসেবে বিবেচিত হয়।

অতিরিক্ত চর্বি জমলে লিভারের কার্যকারিতা কমে যায়, ফলে সামগ্রিক স্বাস্থ্যে এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। তবে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, ওজন বশে আনা ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখার মাধ্যমে খুব সহজেই নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার কী?

নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের কারণে (এনএএফএলডি) লিভারে প্রদাহ ও চর্বি জমে, যা বছরের পর বছর ধরে কার্ডিওভাসকুলার রোগ, ডায়াবেটিস এমনকি লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

তবে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত হলে ঘরোয়া উপাদানের মাধ্যমেই তা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, এমনটিই দাবি গবেষণার।

প্রতিদিনের খাবারে হলুদ অন্তর্ভুক্ত করলেই নাকি লিভারে জমা অতিরিক্ত চর্বি দূর হবে। মেডিকেল নিউজ টুডে উল্লেখ করেছে ও বেশ কয়েকটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, হলুদের কারকিউমিন নামক একটি যৌগ প্রদাহ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

জার্নালটি ২০২১ সালের এনএএফএলডিতে আক্রান্ত ৬৪ জনের উপর পরিচালিত একটি গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়েছে ও কীভাবে ২ গ্রাম হলুদ গ্রহণ লিভারের এনজাইম, সিরাম ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে তা জানিয়েছে।

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানান, নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তরা সকালের চায়ের মতো করে হলুদ মেশানো পানি পানেই লিভারের চর্বি কাটাতে পারবেন। এই পানীয় চর্বি কমাতে ও লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।

এই পানীয় তৈরি করতে ১ গ্লাস গরম পানি নিন, এতে এক চিমটি হলুদ গুঁড়া ও ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন। এর প্রভাব বাড়াতে এক চিমটি দারুচিনি গুঁড়াও মেশাতে পারেন।

এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, যারা ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন তাদের উচিত নিয়মিত তাজা ফল ও শাকসবজি খাওয়া। এছাড়া উচ্চ আঁশযুক্ত উদ্ভিদ যেমন- লেবু ও গোটা শস্য খাওয়া উচিত।

পাশাপাশি অতিরিক্ত চিনি, লবণ, পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে এমন খাবার একেবারেই খাওয়া যাবে না। আর যারা অ্যালকোহলে আসক্ত তারা অবশ্যই এটি এড়িয়ে চলবেন।

অন্যান্য প্রতিকার

আরও একটি গবেষণা অনুসারে, কফি লিভারের জন্য বেশ কয়েকটি সুরক্ষামূলক সুবিধা দেয়। এটি প্রমাণিত হয়েছে যে, লিভারের এনজাইম তৈরিতে (যা প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে) সাহায্য করে কফি।

এটাও প্রমাণিত যে, এনএএফএলডি আক্রান্ত ব্যক্তিদের লিভারের সামগ্রিক ক্ষতি কমাতে নিয়মিত কফি খাওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, কালো কফি হলো সর্বোত্তম বিকল্প। কারণ এতে কোনো অতিরিক্ত চর্বি বা চিনি থাকে না।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *