চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ::বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশের ৪০০ বেশি থানা ও ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে প্রায় ছয় হাজার অস্ত্র লুট করেছিল দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে প্রায় চার হাজার অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও দুই হাজারের বেশি অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। এছাড়া তিন লাখেরও বেশি বিভিন্ন বোরের গুলি এখনও দুর্বৃত্তদের কাছে রয়ে গেছে। এসব অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের জন্যই আগামীকাল বুধবার থেকে যৌথ অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, ৫ আগস্ট ও পরবর্তী সময়ে ৭ দশমিক ৬২ মিলিমিটার বোরের ১ হাজার ১৪৭টি চাইনিজ রাইফেল লুট হয়েছিল। এর মধ্যে ৮০৯টি উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হয়নি ৩৩৮টি। একই বোরের বিডি রাইফেল লুট হয়েছিল ১০টি। এর মধ্যে ৯টি উদ্ধার হয়েছে। একই বোরের ২৫১টি এসএমজি লুট হয়েছিল। উদ্ধার হয়েছে ১৮৫টি, উদ্ধার হয়নি ৬৬টি। একই বোরের ৩২টি চায়না এলএমজি লুট হয়েছিল। উদ্ধার করা হয়েছে ২১টি। ৭ দশমিক ৬২ বোর এবং নাইন এমএম পিস্তল লুট হয়েছিল ১ হাজার ৫৫৬টি। এর মধ্যে উদ্ধার হয়েছে ৭০৭টি। নাইন এমএম এসএমজি লুট হয়েছিল ৩৩টি। উদ্ধার হয়েছে ৩২টি। ১২ বোরের শটগান লুট হয়েছিল ২ হাজার ১৯০টি। উদ্ধার হয়েছে ১ হাজার ৫৬৮টি। ৩৮ মিলিমিটার গ্যাস গান (সিঙ্গেল শট) লুট হয়েছিল ৫৯৩টি। উদ্ধার হয়েছে ৪২৫টি। ৩৮ মিলিমিটার গ্যাস লাঞ্চার (সিক্স শট) লুট হয়েছিল ৫৯৩টি। উদ্ধার হয়েছে ৪২৫টি। ২৬ মিলিমিটার সিগন্যাল পিস্তল লুট হয়েছে তিনটি, উদ্ধার হয়েছে একটি।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, বিভিন্ন বোরের মোট ৬ লাখ ৬ হাজার ৭৪২টি গুলি লুট হয়েছিল। এর মধ্যে ২ লাখ ৮৬ হাজার ৮২টি গুলি উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হয়নি ৩ লাখ ২০ হাজার ৬৬০টি গুলি। বিভিন্ন ধরণের টিয়ারগ্যাস সেল লুট হয়েছিল ৩১ হাজার ৪৪টি। উদ্ধার হয়েছে ২২ হাজার ১৩৯টি। বিভিন্ন ধরণের টিয়ার গ্যাস গ্রেনেড ১ হাজার ৪৫৫টি। উদ্ধার হয়েছে ৭০৪টি। সাউন্ড গ্রেনেড লুট হয়েছিল ৪ হাজার ৬৯২টি। উদ্ধার হয়েছে ২ হাজার ১১৬টি। কালার স্মোক গ্রেনেড লুট হয়েছিল ২৯১টি। উদ্ধার হয়েছে ২১৩টি। সেভেন/মাল্টিপল ব্যাং স্টান গ্রেনেড লুট হয়েছিল ৫৫টি। উদ্ধার হয়েছি ১৮টি। ফ্ল্যাশ ব্যাং/৬ ব্যাং গ্রেনেড লুট হয়েছিল ৮৯৩টি। উদ্ধার হয়েছে ৫৩৩টি। হ্যান্ড হেল্ড টিয়ার গ্যাস স্প্রে (ক্যানিস্টার) লুট হয়েছিল ১৭৭টি। উদ্ধার হয়েছে ৯৪টি।