পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার লেবুখালী ভাড়ানী খালের ওপরের আয়রন ব্রিজটি তিন বছর আগে পণ্যবাহী কার্গোর ধাক্কায় ভেঙে পড়ে। সেই থেকে ব্রিজের ধ্বংসাবশেষ খালের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে, যা স্থানীয় শিক্ষার্থী ও বাসিন্দাদের জন্য বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করছে। ব্রিজটি পুনর্নির্মাণ বা সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি এখন পর্যন্ত। বর্তমানে খেয়া নৌকা বা ঝুঁকিপূর্ণ ঘূর্ণিঝড়-ক্ষতিগ্রস্ত চার কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে বিদ্যালয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন এলাকার প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী।
এটি লেবুখালী হাবিবুল্লাহ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য এক চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০০৯ সালে ব্রিজটি নির্মাণ করা হলেও ২০১৫ সালে পণ্যবাহী একটি কার্গোর ধাক্কায় ব্রিজটির একাংশ বিধ্বস্ত হয়। কিছুদিন পর এলজিইডি এটি মেরামত করলেও ২০২২ সালের জানুয়ারিতে একটি বালুভর্তি কার্গো আবারও ব্রিজের অর্ধেক অংশ ধ্বংস করে ফেলে। এরপর থেকে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী খেয়া নৌকায় পারাপার হতে বাধ্য হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান আশ্রাফ জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ, দুমকি উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসেন। তারা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পারাপার করে বিদ্যালয়ে আসেন। খেয়া পারাপারের সমস্যা, বিশেষ করে ঝড়-বৃষ্টির সময়, তাদের যাতায়াত আরো কঠিন করে তোলে। তিনি আরও জানান, এই দুর্ভোগের কারণে বিদ্যালয়ে ভর্তি শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
এলাকা বাসী এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বারবার ব্রিজটি পুনর্নির্মাণের জন্য এলজিইডি ও সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি পাঠালেও এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুস সালাম এবং বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল মতিন মোল্লা জানান, ব্রিজটি দ্রুত মেরামত করা না হলে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ আরো বাড়বে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হোসেন আলী মীর জানিয়েছেন, ভাঙা ব্রিজটি সরিয়ে নতুন ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ডিজাইনের কাজ চলছে এবং শীঘ্রই টেন্ডার আহ্বান করে নির্মাণকাজ শুরু হবে।