চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: ল্যাপটপ বর্তমানে আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ। পড়াশোনা থেকে শুরু করে অফিসের কাজ, ল্যাপটপ সব জায়গায় ব্যবহৃত হয়। তবে এর সঠিক ব্যবহার এবং যত্ন না নিলে বিপদ হতে পারে, এমনকি বিস্ফোরণও ঘটতে পারে। তাই কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললে ল্যাপটপকে ঠান্ডা রাখা যায় এবং বিস্ফোরণের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
১. কুলিং ফ্যান রক্ষণাবেক্ষণ:
ল্যাপটপের কুলিং ফ্যান একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা অতিরিক্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। বিশেষ করে পুরোনো ল্যাপটপগুলোতে গরম হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। যদি ফ্যানটি সঠিকভাবে কাজ না করে তবে ল্যাপটপের বাইরে তাপ প্রবাহ কম অনুভূত হয়। এ অবস্থায় ফ্যান মেরামত করানো উচিত। এটি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে এবং বিস্ফোরণের ঝুঁকি কমাবে।
২. বায়ুচলাচল বজায় রাখা:
ল্যাপটপের নিচে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের অভাবে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তাই ল্যাপটপটি এমন স্থানে রাখা উচিত যেখানে বায়ুপ্রবাহ ভালোভাবে চলাচল করতে পারে। এছাড়াও, ল্যাপটপ কুলিং ম্যাট ব্যবহার করলেও অতিরিক্ত গরমের সমস্যা এড়ানো সম্ভব।
৩. ল্যাপ ডেস্কের ব্যবহার:
অনেকেই কোলে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করেন, যা অত্যন্ত ক্ষতিকর। কোলে রেখে কাজ করার পরিবর্তে ল্যাপ ডেস্ক ব্যবহার করলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ল্যাপ ডেস্কে বায়ুপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকে, ফলে ল্যাপটপের তাপমাত্রা কম থাকে এবং দীর্ঘ সময় ব্যবহারে নিরাপদ থাকে।
৪. সরাসরি সূর্যালোক থেকে দূরে রাখা:
ল্যাপটপ সরাসরি সূর্যের আলোতে ব্যবহার করা উচিত নয়। সূর্যের আলোর তাপে ল্যাপটপ অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে। বাইরের তাপমাত্রা বেশি থাকলে, ল্যাপটপকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে যাতে এর তাপমাত্রা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ল্যাপটপের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং কুলিং সিস্টেমে যত্ন নেওয়া হলে বিস্ফোরণসহ অন্যান্য ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। তাই সঠিকভাবে ল্যাপটপ ব্যবহারের দিকে মনোযোগী হওয়া উচিত।