শিরোনাম

শতাব্দী পুরোনো পার্লামেন্ট ভবনকে বিদায় জানাল ভারত

Views: 47

চন্দ্রদীপ ডেস্ক : প্রায় ১০০ বছরের পুরনো পার্লামেন্ট ভবনকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অন্যান্য আইনপ্রণেতারা। সোমবার শেষ অধিবেশনে ভারতের স্বাধীনতা অর্জনসহ আরও বহু ঘটনার সাক্ষী এই পার্লামেন্ট ভবনটির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য আইনপ্রণেতারা।

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ১৯২৭ সালে প্রতিষ্ঠিত পুরোনো পার্লামেন্ট ভবনটির স্থপতি ছিলেন ব্রিটেনের দুই স্থপতি— এডউইন লুটিয়েন এবং হার্বার্ট বেকার। তখন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন চলছিল ভারতবর্ষে। পার্লামেন্ট ভবনটি প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পর, ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে ভারত। তারপর গত ৭৬ বছর ধরে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের যাবতীয় গণতন্ত্রচর্চার অভিভাবক ও কেন্দ্র ছিল এই ভবন।

২০১৯ সালে পুরনো পার্লামেন্টে ভবনের কাছে সেন্ট্রাল ভিস্তা এভিনিউয়ে নতুন পার্লামেন্ট ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। সেই কাজ শেষ হয়েছে ২০২৩ সালের মে মাসে।

ভারতের পার্লামেন্ট লোকসভা ও রাজ্যসভা— দুই কক্ষে বিভক্ত। নিম্নকক্ষ লোকসভার আসনসংখ্যা মোট ৫৫২টি এবং রাজ্যসভার আসন মোট ২৫০টি। অর্থাৎ দুই কক্ষ মিলে ভারতের কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টের মোট আইনপ্রণেতার সংখ্যা ৮০২ জন।

আবার এই সংখ্যা যে এখানেই সীমাবদ্ধ থাকবে— এমন নয়। কারণ নতুন প্রদেশ ও নির্বাচনী অঞ্চল ঘোষণা করা হলে স্বাভাবিকভাবেই পার্লামেন্টে আসনসংখ্যাও বাড়াতে হয়।

৯৬ বছরের পুরনো পার্লামেন্ট ভবনটিতে কিছু অবকাঠামোগত সমস্যা ছিল, তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল আসন সংকট। লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে মোট ৭৮৮টি আসন ছিল পুরোনো ভবনটিতে।

অন্যদিকে, নতুন পার্লামেন্ট ভবনে মোট আসনসংখ্যা ১ হাজার ২৮০টি।

পুরোনা ভবনটি অবশ্য ভেঙে ফেলা হবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহায়ন ও নগরায়নমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, ভারতের রাষ্ট্রীয় মহাফেজখানা বা সংগ্রহশালা এই ভবনটিতে সরিয়ে আনা হবে। অর্থাৎ পুরোনো পার্লামেন্টটিকে জাদুঘরে রূপান্তর করা হবে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *