বরিশাল অফিস :: গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ‘মঠবাড়িয়ায় দুই শিক্ষকের অপসারণ দাবি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর বিতর্কিত সেই শিক্ষক মো. মাইনুল ইসলামকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। এক শিক্ষিকার সঙ্গে তার পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। সম্প্রতি তারা বিয়েও করেছেন বলে জানা গেছে। তবে সহকারী শিক্ষিকা স্বপদে বহাল রয়েছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মু. সাঈদুর রহমান স্বপন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাইনুল ইসলামকে ৫২নং মধ্য মিঠাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়েছে। শিক্ষিকা তামান্না নুসরাতের বিষয়টিও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
মাইনুল ইসলাম পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ৫৬নং মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (পাঠশালা) প্রধান শিক্ষক ছিলেন। একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকার সঙ্গে কয়েক বছর ধরে পরকীয়ার পর সম্প্রতি তারা বিয়ে করেছেন।
শিক্ষক মো. মাইনুল ইসলামকে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের হোতা আখ্যা দিয়ে এবং এ দুই শিক্ষকের পরকীয়ার পরে বিয়ের ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে তাদের অপসারণের দাবিতে গত ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে মঠবাড়িয়া কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার সম্মুখ সড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অভিভাবক ও এলাকাবাসীর আয়োজনে এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কলামিস্ট নূর হোসাইন মোল্লার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- অভিভাবক প্রভাষক মো. ফারুক হোসেন, শিক্ষক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা শাহ আলম দুলাল, অভিভাবক সালমা বেগম, সাংবাদিক মো. শাহজাহান মিয়া প্রমুখ।
এদিকে সহকারী শিক্ষিকা স্বপদে বহাল থাকায় ক্ষোভে ফেটে যাচ্ছেন অভিভাবকরা। এই শিক্ষিকার মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. মাইনুল ইসলাম জানান, সহকারী শিক্ষিকাকে বৈধ ও আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত আমাকে মেনে নিতেই হবে।