শীতের কনকনে ঠান্ডায় পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, পেশিতে টান ধরা কিংবা গাঁটের ব্যথা খুবই সাধারণ সমস্যা। অনেকেরই ঘুমের মধ্যে পায়ের রগে টান ধরে ব্যথা শুরু হয়। আবার সকালে হাঁটতে গেলে শিরায় টান লাগতে পারে। পায়ের আঙুল হঠাৎ বেঁকে যাওয়া কিংবা ব্যথার কারণে চলাফেরা করাও কঠিন হয়ে পড়ে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতের আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে শরীরে নানা সমস্যার প্রকোপ বাড়ে। তার মধ্যে প্রধান কারণ হলো শরীরে পানির ঘাটতি বা ডিহাইড্রেশন। অনেকেই শীতে অলসতার কারণে পর্যাপ্ত পানি পান করেন না। চলাফেরা কমিয়ে দেওয়াও গাঁটের ব্যথা ও পেশির টান বাড়াতে পারে।
শীতে পেশির টান ও গাঁটের ব্যথা কমাতে যা করবেন
১. নিয়মিত শরীরচর্চা:
শীতকালে আলস্যের কারণে শরীরচর্চা এড়িয়ে গেলে সমস্যা বাড়ে। তাই নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন। হাঁটা-চলা, সাঁতার কাটা, জগিং কিংবা সাধারণ যোগব্যায়াম পেশিকে শিথিল রাখে এবং গাঁটের ব্যথা কমায়।
২. গরম সেঁক ও গরম পানিতে গোসল:
শীতকালে গরম পানিতে গোসল করলে এবং ব্যথার স্থানে গরম সেঁক দিলে আরাম পাওয়া যায়। এটি পেশির শক্তভাব কমায় এবং রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক করে।
৩. পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ:
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এসব খাবার পেশিকে শিথিল করে, হাড়কে মজবুত রাখে এবং ব্যথা-যন্ত্রণা কমাতে সহায়তা করে।
৪. পানি পানের অভ্যাস:
শীতকালে অনেকেই পানি কম খান। শরীর ডিহাইড্রেটেড হলে পেশিতে টান ধরার ঝুঁকি বাড়ে এবং গাঁটের ব্যথা তীব্র হয়। তাই শরীরে পানির ঘাটতি হতে দেবেন না।
৫. ওষুধ গ্রহণে সতর্কতা:
যদি ব্যথা বাড়তে থাকে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করুন। নিজের ইচ্ছেমতো ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
শীতকালে এই অভ্যাসগুলো মেনে চললে পেশির টান এবং গাঁটের ব্যথার ঝুঁকি সহজেই কমানো সম্ভব। সুস্থ ও সচল থাকতে নিয়মিত শরীরচর্চা ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ নিশ্চিত করুন।