চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিকে কল্পনাপ্রসূত বলে দাবি করেছে দলটি। একই সঙ্গে মামলাটিকে অসাংবিধানিক ও বেআইনি উল্লেখ করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
আজ শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন করেছিলেন। শেখ হাসিনার সরকার মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। জাতির অঙ্গীকার পূরণে এই আইনের আওতায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছিল, যা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ আরও বলে, সেই বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক ঘৃণ্য প্রতিশোধ নেওয়ার লক্ষ্যে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এবং অসাংবিধানিক ও অবৈধ তথাকথিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কাল্পনিক তথ্যের ভিত্তিতে গণহত্যার মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করেছে। আইনের শাসনের সকল নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
আওয়ামী লীগের পোস্টে বলা হয়, তারা অসাংবিধানিক ও অবৈধ সরকারের এই কার্যক্রমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, নিন্দা ও ঘৃণা জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গণহত্যার ব্যাপারে জাতিসংঘের কনভেনশনের সংজ্ঞা তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, গণহত্যা হলো হত্যাকাণ্ডসহ এমন ক্ষতিকারক কাজ করা, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে কোনো জাতি, গোষ্ঠী, সম্প্রদায় কিংবা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে ধ্বংস করা।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য চালানোর অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগ বলে, দেশে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে হত্যাযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। একই সঙ্গে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষকে হত্যাসহ অকথ্য নির্যাতন চালানো হচ্ছে, যা গণহত্যার পর্যায়ে পড়ে।
পোস্টে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কাল্পনিক তথ্যের ভিত্তিতে যে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এটি নিন্দিত হবে।