শিরোনাম

শের-ই–বাংলা মেডিকেলের চক্ষু বিভাগ: অর্ধযুগ ধরে প্যাকেটবন্দি ১২ কোটি টাকার ল্যাসিক যন্ত্র

Views: 6

বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের অত্যাধুনিক ল্যাসিক মেশিনটি গত ছয় বছর ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে। এই অবস্থায় দক্ষিণাঞ্চলের ১১ জেলার প্রায় দেড় কোটি মানুষ উন্নত চোখের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শুধু ল্যাসিক মেশিনই নয়, চোখের ছানি অপারেশনের ফ্যাকো মেশিনটিও দীর্ঘ সাত মাস ধরে অকেজো অবস্থায় রয়েছে, যার ফলে রোগীরা হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।

চক্ষু বিভাগের স্টাফরা জানালেন, “এখানে আগে রোগীদের ভিড় থাকত, কিন্তু বর্তমানে বড় অপারেশন বন্ধ হওয়ায় ঢাকায় রেফার করা হচ্ছে।” এক রোগী, হোসনেয়ারা বেগম জানান, “গত বছর চোখে ছানি অপারেশন করিয়েছিলাম, কিন্তু এখন আবার সমস্যা হচ্ছে, ডাক্তার বলছে অপারেশন বাইরে করাতে হবে কারণ হাসপাতালের মেশিন নষ্ট।”

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের মেশিনটি ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরবরাহ করা হয় এবং এটি বাংলাদেশে সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোর ডিপার্টমেন্ট (সিএমএসডি) থেকে কেনা হয়েছিল। তবে প্রথম বছরেই মেশিনের ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ পাওয়া যায়নি এবং টেকনিশিয়ানরা মেশিনটি চালানোর প্রক্রিয়া জানতেন না। এর পর ২০১৫ সালে মেশিনটি চালু করা হলেও ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে এটি বিকল হয়ে যায়। পরবর্তীতে একাধিকবার মেরামত করা হলেও ২০১9 সাল থেকে এটি আর চলতে পারেনি।

চক্ষু বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, “এই মেশিনটি সারাতে কমপক্ষে ১ কোটি টাকা প্রয়োজন এবং এটি চালু রাখার জন্য বিশেষ যন্ত্রাংশ ও প্রশিক্ষিত জনবল প্রয়োজন।” তিনি আরও জানান, “ল্যাসিক মেশিনটি চালু থাকলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য চোখের উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থাকত।”

এদিকে, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একে এম মশিউল মুনির বলেন, “শেবাচিম হাসপাতাল বহু পুরোনো হলেও প্রয়োজনীয় জনবল এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব রয়েছে। আমরা এই সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছি এবং মন্ত্রণালয় ও সিএমএসডির সাথে আলোচনা শুরু করেছি।” তিনি আশাবাদী যে, শীঘ্রই এই সমস্যা সমাধান হবে।

মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *