শিরোনাম

শেষ মৌসুমে ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছে খুশি জেলেরা

Views: 48

 

মো:আল-আমিন,পটুয়াখালী: মৌসুমের শেষের দিকেও জেলেদের জালে ধরা পড়ছে রূপালি ইলিশ। পাশাপাশি সামুদ্রিক নানা প্রজাতির মাছ পাচ্ছেন তারা। এসব মাছ বিক্রির হাঁক-ডাকে সরগরম পটুয়াখালী উপকূলের মৎস্যপল্লিগুলো। এতে বেশ খুশি মৎস্য পেশায় নিয়োজিত সংশ্লিষ্টরা।

দেশের অন্যতম মৎস্য বন্দর আলীপুর-মহিপুর আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রর ফ্লোরে বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের স্তুপ পড়ে আছে। এরপর পাইকাররা জড়ো হয়ে ডাকের মাধ্যমে মাছ কিনে প্যাকিংয়ের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। মোট কথা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাছ বিক্রয় ও প্যাকিংয়ের ব্যস্ততার পর বিকেলে শুরু হয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানোর কাজ।

আড়তে বড় সাইজের ইলিশ প্রতি মণ ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা, মাঝারি সাইজের প্রতি মণ ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা এবং ছোট সাইজের প্রতি মণ ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া সামুদ্রিক অন্যান্য প্রজাতির মাছ প্রতি মণ ৪ হাজার থেকে ১৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বড় সাইজের পাঙাশ, ছুরি, কোরাল, লাক্কা, পাখি, পোয়া,চন্দনা, চাপল, ফাইশা এবং লইট্টাসহ নানান প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ পাচ্ছেন জেলেরা।

মহিপুরের জেলে রুবেল হোসেন বলেন, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ কিছুটা কম থাকলেও সাদা মাছ (সামুদ্রিক অন্যান্য মাছ) ধরা পড়ছে বেশি। তবে সাদা মাছে বেশি টাকা হয় না। ইলিশের দাম ভালো আছে। বর্তমানে কোনো ট্রলারকে সমুদ্রে ফিশিং করে লোকসান গুনতে হচ্ছে না।

ট্রলারটির মাঝি মো. ফারুক হোসেন বলেন, সমুদ্রের কূলের দিকের ইলিশের সাইজ ছোট। তবে গভীর সমুদ্রে বড় সাইজের ইলিশ আছে। সাগরে বর্তমানে অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ ধরা পড়ছে বেশি। আমার ট্রলারে বড় জাল থাকায় বড় সাইজের ইলিশ পেয়েছি।

এফ বি সালেহা-১ নামের একটি ট্রলার সমুদ্রে আট দিন ফিশিং শেষে শুক্রবার সকালে ঘাটে ফিরেছে। ট্রলারটি বিভিন্ন সাইজের ২৫ মণ ইলিশ ও প্রচুর সামুদ্রিক মাছ পেয়েছে। মাছগুলো ফাইভ স্টার গদিতে ১১ লাখ ১৮ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এফ বি তামান্না ট্রলারের মাঝি ইউনুস মিয়া বলেন, শীত শুরু হয়ে গেছে। এখন ইলিশ মাছ ধরা পড়বে কম। স্বাস্থ্য খারাপ থাকায় ছয় দিন ফিশিং করে ঘাটে ফিরে এসেছি। যে মাছ পেয়েছি তা সাড়ে নয় লাখ টাকায় বিক্রি করেছি।

মৎস্যবন্দর আলীপুরের ফাইল স্টার গদির মালিক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে ইলিশের পরিমাণ কিছুটা কম। তবে অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের পরিমাণ বেশ ভালো। কিন্তু সামুদ্রিক মাছের দাম বেশি হয় না। এক মণ ইলিশের সমান অন্যান্য দশ মণ মাছেও হয় না।

এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, নিষেধাজ্ঞার সুফল পাচ্ছেন জেলেরা। সমুদ্রে সব ধরনের মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ বেশি ধরা পড়ছে।
তিনি বলেন, বছরে ইলিশ আহরণের পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ৭৫ হাজার টন। এ বছর আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *