চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: কনকনে শীতের মধ্যে শিশুসন্তানদের গরম কাপড় পরিয়ে রিকশায় চড়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন এক মা। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে তোলা। ছবি : শেখ হাসান
দেশে কাগজে-কলমে শৈত্যপ্রবাহ ছিল না গতকাল বৃহস্পতিবার। তা সত্ত্বেও রাজধানীসহ দেশের অনেক অঞ্চলেই অনুভূত হয়েছে হাড়-কাঁপানো শীত। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, কাগজে-কলমে শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও শৈত্যপ্রবাহের মতোই বা তার চেয়ে বেশি শীত অনুভূত হয়েছে। মূলত ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের আলো না আসায় এবং উত্তরের ঠাণ্ডা বাতাসের প্রভাবে দিন-রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য অনেক কমে যাওয়ায় শীতের এমন দাপট চলছে।
আজ শুক্রবারও এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদরা। আজ দুপুরের পর কিছুক্ষণের জন্য সূর্যের দেখা মিলতে পারে। তাতে সাময়িক স্বস্তি মিললেও সামগ্রিকভাবে শীতের অনুভূতি খুব একটা কমবে না। তবে আগামীকাল শনিবার থেকে তাপমাত্রা বেড়ে শীতের অনুভূতি কিছুটা কমতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক গতকাল রাতে বলেন, “শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও শৈত্যপ্রবাহের মতোই শীত অনুভূত হচ্ছে। এটাকে বলা হয় ‘কোল্ড ডে কন্ডিশন’। অর্থাৎ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে না নামলেও তীব্র শীতের অনুভূতি হচ্ছে। মধ্যরাত থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা, উত্তরের বাতাস, জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম থাকা এবং ঊর্ধ্বাকাশের জেট স্ট্রিমের দক্ষিণমুখী বিস্তার ও নিম্নমুখী বিচরণ এই ঠাণ্ডার অনুভূতি হঠাৎ বাড়িয়ে দিয়েছে।