এস এল টি তুহিন, বরিশাল :: ষষ্টবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসন থেকে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে ১৯৯১ সালে তিনি (মেনন) এ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। এরপর তিনি ঢাকা-৮ আসন থেকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ২২ হাজার ১৭৫ ভোট পেয়ে ষষ্টবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি স্বতন্ত্র প্রার্থী শেরে বাংলার নাতী এ কে ফাইয়াজুল হক রাজু পেয়েছেন ৩১ হাজার ৩৯৭ ভোট। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাশেদ খান মেননের শতভাগ বিজয় নিশ্চিত করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছেন বরিশাল-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার পর জোটের ভাগাভাগির কারণে দলের সিদ্ধান্তে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস। শুরু থেকে তিনি (ইউনুস) দিন-রাত সমানতালে রাশেদ খান মেননকে সাথে নিয়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়িয়েছেন। ফলে তার (মেনন) জয় পেতে অনেক সহজ হয়েছে।
বামপন্থী সংশোধনবাদী ধারার রাজনৈতিক নেতা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড রাশেদ খান মেনন ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এরপর ১৯৯১, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের জন্য গঠিত সর্বদলীয় মন্ত্রীসভায় তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপূর্বে ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা ও পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পীকার বিচারপতি আবদুল জব্বার খানের ছেলে রাশেদ খান মেনন ১৯৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান সংগঠনে তিনি অসামান্য ভূমিকা পালন করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে রাশেদ খান মেনন অংশগ্রহণ করে বীরত্বের ভূমিকা পালন করেন। পাকিস্তান আমলে বাংলার কথা বলার জন্য তাকে সাত বছর সশ্রম কারাদ- ভোগ করতে হয়েছিল।