Views: 42
বরিশাল অফিস :: মেয়ের অব্যাহত শারিরিক ও মানসিক নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন বৃদ্ধ বাবা ও মা। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করে সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগীরা। ঘটনাটি জেলার বরিশাল গৌরনদী উপজেলার বড় কসবা গ্রামের।
বিএমএসএফ’র উপজেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ওই গ্রামের শাজাহান হাওলাদারের স্ত্রী রেনু বেগম বলেন, তার দ্বিতীয় মেয়ে শিল্পী আক্তারকে প্রায় ২৫ বছর সপূর্বে কালকিনির রমজানপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম হাওলাদারের কাছে বিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে সাত বছর সংসার করে স্বামী ও শাশুড়িকে একাধিকবার মারধর করার ঘটনায় শিল্পী আক্তারকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর একে একে তার (শিল্পী) ছয়টি বিয়ে হয়। প্রত্যেক পরিবারে কলহ সৃষ্টির ঘটনায় বিয়ের কয়েকদিনের মধ্যে তা বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে শিল্পী আক্তার দক্ষিণ পালরদী এলাকায় একাকি ভাড়া বাসায় থাকে। এরইমধ্যে আশ্রয়ের জন্য শিল্পী আমার (রেনু বেগম) কাছে বাড়ি করার জন্য চার শতক জমি ক্রয় করতে চায়। আমি তার সরল বিশ্বাসে শিল্পীকে জমি রেজিস্ট্রি করে দেই। এরপর টাকা চাইতে গেলে শিল্পী আমাকে ও আমার অসুস্থ্য স্বামীকে একাধিকবার মারধর করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত অভিযুক্ত শিল্পীর বাবা শাজাহান হাওলাদার বলেন, সম্প্রতি শিল্পী বাড়িতে এসে আলমিরা ভেঙ্গে দুইটি স্বর্ণের রুলী, গলার নেকলেস, দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এসময় আমি দেখে তাকে (শিল্পী) বাঁধা প্রদান করায় আমাকে মারধর করে চলে যায়। এ ঘটনায় উল্টো থানায় গিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ তদন্তে এসে অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে শিল্পীকে ভৎসনা করেন। এরপর পূর্ণরায় মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানী করার জন্য শিল্পী আমার ঘর ভাঙচুর করে হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয়। এলাকায় অপপ্রচার করে আমরা তাকে মারধর করেছি।
অভিযুক্ত শিল্পীর দিনমজুর ভাই মিজান হাওলাদার বলেন, আমার বোন শিল্পী আক্তারের বেপরোয়া জীবন যাপন, বৃদ্ধ বাবা ও মাকে একাধিকবার নির্যাতনের ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে হত্যাসহ বৃদ্ধ বাবা ও মায়ের নামে মামলা দায়েরের হুমকি প্রদর্শন করা হচ্ছে।
অভিযোগের ব্যাপারে শিল্পী আক্তারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।