বুধবার সন্ধ্যা থেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ঝুম বৃষ্টির সঙ্গে শুরু হয় ব্রজপাত। এসময় দুর্ভোগে পড়েন ঘরে ফেরা মানুষেরা।
আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা বুধবার সন্ধ্যায় বলেন, “মোটামুটি এ সপ্তাহ জুড়েই বৃষ্টি থাকবে। কোথাও গ্যাপ দিবে, কোথাও কন্টিনিউ চলবে। কমবেশি সারা দেশেই থাকবে।
“যেমন ধরেন, ৪ তারিখ পর্যন্ত বেশি থাকবে, ৫-৬ তরিখ কমবে। আবার ৭ তারিখে বেশি বৃষ্টি হবে।”
আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯০ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে চট্টগ্রামে। এছাড়া নোয়াখালীর মাইজদীকোর্টে ৮৩, কক্সবাজারে ৪৯ মিলিমিটারসহ প্রায় সারাদেশেই কম-বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারি, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে তাকে বলা হয় অতি ভারি বৃষ্টিপাত।
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় দিনাজপুরের সৈয়দপুরে ও শ্রীমঙ্গলে। এসময় ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমার আভাস এসেছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।