রোববার (১ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সিনিয়র সচিবের বরাত দিয়ে এতে বলা হয়, ‘সকল সরকারি কর্মচারীকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, সরকারি কর্মচারীদের প্রতি পাঁচ বছর পরপর সম্পদের হিসাব দেওয়ার বিধান থাকলেও তা মানেন না অনেকে। সরকারি চাকরির আচরণ বিধিমালার তোয়াক্কাই করেন না তারা। আর যাদের সম্পদের হিসাব নেওয়ার কথা, সংশ্লিষ্ট সেই কর্তৃপক্ষও এক্ষেত্রে এতদিন বেশ উদাসীন ছিল। এ বিষয়ে সরকারি কর্মচারীদের আচরণবিধি ক্ষুণ্ন হলেও নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। এ কারণে সম্পদের হিসাব দিতে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে তৈরি হয় চরম অনীহা।
জানা গেছে, ১৯৭৯ সালে সরকারি কর্মচারীদের পাঁচ বছর পরপর সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার বিধান চালু করা হয়। জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’-এ এটি যুক্ত করা হয়। সেখানে বলা হয়, সরকারি কর্মচারীদের প্রতি বছর সম্পদের হিসাব নিজ দপ্তরে জমা দিতে হবে।
তবে ২০০২ সালে ওই বিধিমালা সংশোধন করে এক বছরের পরিবর্তে প্রতি পাঁচ বছর পরপর কর্মচারীদের হিসাব জমা দেওয়ার বিধান চালু করা হয়। কিন্তু চার দশক ধরে এ নিয়ম পুরোপুরি প্রতিপালন করা যায়নি। এ ইস্যুতে এবার নড়েচড়ে বসেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এদিকে, গত ২৪ আগস্ট স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্পদের হিসাব বিবরণী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের স্মারকমূলে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসে কর্মরত সব বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের (স্বামী/স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা) দেশে ও বিদেশে অবস্থিত সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
‘সে লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের (স্বামী/স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা) দেশে ও বিদেশের সম্পদের হিসাব বিবরণী আগামী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংযুক্ত ফরম অনুযায়ী রেজিস্ট্রার জেনারেলের দপ্তরে দাখিল করার জন্য প্রধান বিচারপতি অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ অবস্থায় সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের (স্বামী/স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা) দেশে ও বিদেশের সম্পদের হিসাব বিবরণী আগামী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংযুক্ত ফরম অনুযায়ী রেজিস্ট্রার জেনারেলের দপ্তরে দাখিল করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করা হলো।