জানা গেছে, মামলাগুলো আইনি প্রক্রিয়ায় লড়বে স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটি। সময় হলেই নেতাকর্মীরা আইনজীবী নিয়োগ দেবেন। প্রয়োজন হলে বিদেশি আইনজীবীও নিয়োগ দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের একাধিক সিনিয়র নেতা জানান, মামলা লড়াইয়ের জন্য এখনও উপযুক্ত সময় আসেনি। সময় হলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দলীয় সূত্র মতে, ক্ষমতা হারানোর পর থেকে মামলা আর হামলার ভয়ে দিন পার করছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। যখন-তখন বাড়িঘরে হামলার শঙ্কায় দিনাতিপাত করছেন তারা। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা দলটির কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বাড়িতে অবস্থান করতে পারছেন না। কেউ আত্মগোপনে চলে গেছেন, কেউ কেউ দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। যারা বাড়িতে থাকছেন, রাত হলেই তারা অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। হামলা থেকে বাঁচলেও রেহাই মিলছে না মামলা থেকে। এরই মধ্যে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নামে দেড় শতাধিক মামলা হয়েছে। বাদ পড়েননি শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামও।
দলীয় সভানেত্রীসহ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা এসব মামলা ও অভিযোগ মোকাবিলা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয় আওয়ামী লীগের এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের কাছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নাম প্রকাশ না করে তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘দেশের যে পরিস্থিতি, এখনও মামলা মোকাবিলার সময় হয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে নেই। এ পরিস্থিতিতে কে মামলা মোকাবিলা করবে? আদালতের মতো একটি জায়গায় হামলা করা হচ্ছে। ব্যাপক নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্যে যেখানে আটক নেতা-কর্মীরা নিরাপদ নয়, সেখানে আইনজীবীরাও নিজেদের নিরাপদ বোধ করছেন না। আমরা অপেক্ষা করছি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
একের পর এক মামলা, এত মামলা কীভাবে মোকাবিলা করবেন— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের নিজস্ব আইনজীবী আছেন। শুধু ঢাকা নয়, প্রতিটি জেলায় দলীয় আইনজীবী রয়েছেন, আইনজীবী নেতা রয়েছেন, এমনকি দলকে সমর্থন করেন— এমন আইনজীবীও রয়েছেন। তারাই মামলাগুলো লড়বেন। তবে, এখন নয়। তারা (আইনজীবীরা) প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সময় হলেই আইনি লড়াইয়ে নামবেন তারা।’