পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: সময় টিভির সাংবাদিক ও পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সদস্য মো. মনির হোসেন বাদলের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের ঘটনায় প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে মানববন্ধন করা হয়েছে।
সোমবার (৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১০টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সদর রোড ভবন প্রাঙ্গণে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন সর্বস্তরের সাংবাদিকবৃন্দ।
এ সময় মানববন্ধনে গত ৩ জুলাই বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে সময় টিভির সাংবাদিক ও পটুয়াখালীর প্রেসক্লাবের সদস্য মনির হোসেন বাদলসহ চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। মামলা প্রত্যাহারসহ এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সাংবাদিক হয়রানি বন্ধের দাবি জানান বক্তারা।
এ সময় বক্তব্য রাখেন- পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি স্বপন ব্যানার্জী, জাকির হোসেন, সহ-সভাপতি অ্যাড. সোহরাব হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জালাল আহম্মেদ, মুফতি সালাহউদ্দিন, মুজাহিদুল ইসলাম প্রিন্স প্রমুখ।
আরো পড়ুন : কুয়াকাটা সৈকতের ১০ কি. মি. জুড়ে এক লাখ বৃক্ষ রোপণ চলছে
জানা যায়, পটুয়াখালীর বাউফলে গৃহবধূকে ভাগিয়ে নেয়ার অভিযোগে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে পটুয়াখালী আদালতে মামলা করেন ওই গৃহবধূর স্বামী। এ ঘটনায় ‘অন্যের বউ ভাগিয়ে নেয়ায় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা’ শিরোনামে গত ২৯ জুন সময় টিভির ওয়েবসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে ক্ষুব্ধ হন বাউফল পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আরিফুজ্জামান খান রিয়াদ (৪৩)। তিনি বাদী হয়ে গত ৩ জুলাই বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে সময় টিভির সাংবাদিক ও পটুয়াখালীর প্রেসক্লাবের সদস্য মনির হোসেন বাদলসহ চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার অন্য বিবাদীরা হলেন- দৈনিক কালবেলার বাউফল উপজেলা প্রতিনিধি জি এম মশিউর রহমান মিলন, বাউফল প্রতিদিন ডটকম অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক মো. এনামুল হক এনা, বেসরকারি টেলিভিশন সময় টিভির রিপোর্টার মো. মনির হোসেন বাদল ও দৈনিক ভোরের আকাশের বাউফল প্রতিনিধি মো. ফিরোজ। আদালত বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করার দায়িত্ব দেন।