মো:আল-আমিন (পটুয়াখালী): সমুদ্রের করাল গ্রাসে প্রতি বছর ১৫ থেকে ২০ মিটার প্রশস্ততা হারাচ্ছে সূর্যোদয়- সূর্যাস্তের বেলাভূমি কুয়াকাটা সৈকত। ক্রমশই ছোট হয়ে আসছে সৈকতের মানচিত্র। ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি পর্যটকসহ স্থানীয়দের।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌর শহরের হুইসেন পাড়া এলাকার ষাটোর্ধ্ব ইউসুফ হাওলাদার। তিনি পেশায় জেলে। তার ভাষ্যমতে, প্রায় ২০ বছর আগেও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের প্রস্থ ছিল ৫ কিলোমিটার। মূল বেড়িবাঁধের পর সৈকতের বিশাল এলাকাজুড়ে ছিল ফয়েজ মিয়ার নারিকেল বাগান, তেঁতুল বাগান, ঝাউবন ও জাতীয় উদ্যানসহ বহু স্থাপনা। কিন্তু সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের তাণ্ডবে এসব বাগান বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে সৈকতের প্রস্থ এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১ কিলোমিটারে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে সৈকতের জিরো পয়েন্টের মসজিদ ও মন্দিরসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট দোকানপাট।
শুধু ইউসুফ হাওলাদার নয়, এমন কথা জানিয়েছেন কুয়াকাটার বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান ।
ভাঙন রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড দীর্ঘ ৪ বছরে ৮ কোটি টাকার বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেললেও তাতে সৈকতের কোন উন্নতি হয়নি। বর্তমানে যত্রতত্র ফাটাছেড়া জিও ব্যাগ ও গাছের গুড়ি পড়ে থাকায় আগের তুলনায় সৈকতের সৌন্দর্য হারিয়েছে বলে পর্যটকদের দাবি।
ঢাকা সাভার থেকে আসা পর্যটক মহিদুল বলেন, ‘কুয়াকাটার পরিবেশটা বেশ ভালোই । ৭ বছর আগে আরও একবার কুয়াকাটায় এসেছিলাম। কিন্তু এখন বিভিন্ন স্থানে ফাটাছেড়া জিও ব্যাগ এবং বড় বড় গাছ পড়ে আছে। এগুলো দেখতে ভালো লাগে না।’
চুয়াডাঙা থেকে আসা পর্যটক মো: নাইম জানান, সমুদ্রের ঢেউ সবারই মন কাড়ে। তবে এখানের বালু ভর্তি ফাটাছেড়া জিও ব্যাগ সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট করতেছে ।