চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের মন্তব্যের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের মধ্যে তার বিদায় চাওয়ার আহ্বান উঠেছে। তবে প্রশ্ন উঠেছে, আইন ও সংবিধান অনুযায়ী তাকে সরিয়ে দেয়ার সুযোগ রয়েছে কিনা।
মার্চ মাসের গণঅভ্যুত্থানের পর ছাত্ররা দাবি করেছে যে ‘আইন ও সংবিধানের’ বিষয়টি গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে, এবং তারা রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে নতুন কাউকে দায়িত্ব দিতে চাইলে সেটি অসম্ভব নয়। যদিও সরকারের পরিবর্তনের পর দেশের সংবিধান স্থগিত করা হয়নি।
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রপতির তীব্র সমালোচনা করলেও, তার পদত্যাগ বা অপসারণের দাবিতে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। বিএনপি নেতাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য না করার জন্য। জামায়াতে ইসলামী জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতি অসত্য বক্তব্য দিয়ে পদে থাকার অধিকার হারিয়েছেন।
দৈনিক মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী জানান, রাষ্ট্রপতি দাবি করেছেন যে শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো দালিলিক প্রমাণ তার কাছে নেই। এ বিষয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতারা রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ এনেছেন। রাতের আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবি করে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করতে চাইলে স্পিকারের কাছে যায়, কিন্তু বর্তমানে স্পিকার পদত্যাগ করেছেন এবং ডেপুটি স্পিকার কারাগারে থাকায় সেটি সম্ভব হচ্ছে না। সিনিয়র আইনজীবী শাহদীন মালিক জানিয়েছেন, “রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে পারে সংসদ। কিন্তু তা বাতিল করা হয়েছে।”
শেখ হাসিনার পদত্যাগ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির সিনিয়র নেতারা সতর্ক অবস্থানে থাকলেও কিছু নেতা মনে করছেন, রাষ্ট্রপতি সম্ভবত সরকারকে সংকটে ফেলার উদ্দেশ্যে এমন মন্তব্য করেছেন।
জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে বলেছে, তার অসত্য বক্তব্য তাকে পদে থাকার অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। তবে তারা সরাসরি রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি জানাননি।