পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালী-৪ আসনের সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মুহিববুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যাপক সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী এলাকায় তার ও তার পরিবারের নামে দুই শতাধিক একর জমি কেনা হয়েছে। এ ছাড়া সাগর ও বন বিভাগের জমি ইজারা, টিআর-কাবিখা প্রকল্প থেকে কমিশন গ্রহণ, টেন্ডার বাণিজ্য, বাজার ও খেয়াঘাট নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন উপায়ে সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি।
মুহিবের স্ত্রীর নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট গঠন করা হয়, যার মাধ্যমে নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য থেকে শুরু করে দালালি ও চাঁদাবাজির মতো কাজ করা হতো। জানা যায়, কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলায় তিনি ও তার স্ত্রীর নামে প্রায় ৪৫ একর জমি কেনার দলিল পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে, মুহিবের সমর্থকরা চাঁদাবাজি এবং জমি দখলের মতো কাজে লিপ্ত ছিলেন। স্থানীয়দের মতে, তার ক্ষমতার প্রভাবে এ অঞ্চলের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এলাকাবাসীর ধারণা, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুহিব ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তার সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন পিএ তরিকুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবিরসহ আরও অনেকে। বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, মৎস্য বন্দরের চাঁদা ও টেন্ডার বাণিজ্য থেকে তার নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেট বিপুল অর্থ আয় করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।