Views: 45
এই সাবেক বিচারপতির বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে।
২৩ আগস্ট রাতে অবৈধভাবে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাবেক বিচারপতি মানিককে আটক করে বিজিবি। পরে ২৪ আগস্ট ভোরের দিকে সিলেটের কানাইঘাট দনা সীমান্ত বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে থানায় হস্তান্তর করেন। এরপর মানিককে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক জামিনে মুক্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক অঞ্জন কান্তি দাশ এক টাকা জরিমানা আদায়ের মাধ্যমে তাকে জামিন দেন।
সিলেটের কানাইঘাট থানায় পুলিশের একটি মামলায় তাকে এই জামিন দেয়া হয়। পাসপোর্ট ও ভিসা ব্যতীত বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টার দায়ে তার বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়।
২৩ আগস্ট কানাইঘাট সীমান্ত থেকে গ্রেফতারের আগে বা পরে মারধরের শিকার হন মানিক। অসুস্থ হয়ে পড়ায় অস্ত্রোপচারের পর সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) রাখা হয়। সেখানে অনেকটা সুস্থ হওয়ার পর তাকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হয়। জামিনের পর তাকে সিলেট কারাগারে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে তাকে ঢাকায় পাঠানো হবে।
এই সাবেক বিচারপতির বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে।
২৩ আগস্ট রাতে অবৈধভাবে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাবেক বিচারপতি মানিককে আটক করে বিজিবি। পরে ২৪ আগস্ট ভোরের দিকে সিলেটের কানাইঘাট দনা সীমান্ত বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে থানায় হস্তান্তর করেন। এরপর মানিককে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
সে সময় শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আদালতে নেয়ার সময় জুতা ও ডিম নিক্ষেপ করে সাধারণ মানুষ। আদালতে নেয়ার সময় কয়েকজনকে তার ওপর হামলার চেষ্টা চালাতেও দেখা যায়। এ সময়ই তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন নাকি আটকের আগে আহত হয়েছেন তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।
পরে সাবেক বিচারপতি মানিক নিজেকে অসুস্থ দাবি করলে আদালত জেলকোড অনুসারে তাকে চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দেন। এরপর সেদিন রাতে সিলেট কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তার গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত অণ্ডকোষে জরুরি অস্ত্রোপচার শেষে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) একটি কেবিনে রাখা হয় তাকে। এরপর তার উন্নত চিকিৎসায় আট সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।