শিরোনাম

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসক্তি এবং ইন্টারনেটের ক্ষতিকর দিক

Views: 42

বরিশাল অফিস :: শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনের জের ধরে দেশে একরকম অস্থিতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। চলমান এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে জানমালের। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সকল ক্ষেত্রেই তার প্রভাব বেশ প্রকটভাবেই দৃশ্যমান।

বাস চলাচল, বাজারঘাট তো বন্ধ রয়েছেই, তার সাথে স্কুলকলেজ আর অফিস-আদালত কোনো কিছুই স্বাভাবিক নিয়মে চলছে না। সবচেয়ে বেশি নজরে পড়ার মতো ঘটনা হলো বেশ কয়েকদিন ধরে সারাদেশে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রয়েছে। ডেটা ভবনে আগুন লাগার ঘটনায় সারাদেশে সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ ইন্টারনেট সেবা স্থগিত রয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা সংযোগ ফিরিয়ে আনার পূর্ণ চেষ্টা করছে। তবুও, এখনো অবধি ইন্টারনেট সংযোগ করতে নানারকম প্রতিকূলতার সম্মুখীন হচ্ছে সাধারণ মানুষ। শুধু যোগাযোগ বা বিনোদন নয়. জরুরি যোগাযোগ এবং দেশের পরিস্থিতির তথ্য আদানপ্রদানের ক্ষেত্রেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে।

তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম শিথিল হওয়ার এই ব্যাপার টায় আমাদের নেতিবাচকে নজর দেওয়ার চেয়ে ইতিবাচক দিকগুলোতে দৃষ্টিপাত করা উচিত। এই নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ফলে দুনিয়া আমাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। মুহূর্তেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের তথ্য আদান-প্রদান সম্ভব হচ্ছে। তবে অতিরিক্ত কোনোকিছুই ভালো নয়, এসবের অতিরিক্ত ব্যবহারও তাই বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেছে। খুব সহজেই অনুমান করা যাচ্ছে, বর্তমান সময়ের অধিকাংশ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর উপর নির্ভর হয়ে পড়েছে। অনেকের ক্ষেত্রে এটা আসক্তিও বলা যেতে পারে।

‘সিনেট’- এর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায় বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিনিয়ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার মানুষের উদ্বিগ্নতা বাড়িয়ে দেয়। এক মুহূর্তও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে মনে হতে থাকে, ‘হয়ত কোনো জরুরি খবর সময়মতো জানতে পারলাম না!’ তাই অকারণেই অনেকে জরুরি কাজ ছাড়াও সারাক্ষণ মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, কম্পিউটার, টিভির সামনে বসে থাকে। এর ফলে দেখা যায়, কোনো কাজে ভালোভাবে পরিপূর্ণ মনোযোগ ধরে রাখা যায় না। বারবার অবচেতন মন এইসব ডিভাইসের দিকেই ঝুঁকে পড়ে।

তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতি আমাদের নির্ভরতাকে অনুধাবন করে, এইসব অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেন আসক্তি তৈরি না হয়, সেই চেষ্টা করতে হবে। অবসর সময় কাটাতে বিকল্প অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *