ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির প্রেক্ষাপটে সিটি ব্যাংক তার কর্মীদের জীবনযাত্রা সহজ করতে একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২৪ সালের জন্য ১৬২ কোটি টাকার বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছে। এতে আগামী বছরে ইনক্রিমেন্ট, বোনাসসহ ২০২৫ সালের শেষে ব্যাংকটির বার্ষিক বেতন ব্যয় মোট ৩০০ কোটি টাকা বাড়বে, এবং আগামী বছরে এ ব্যাংকের মোট বার্ষিক বেতন দাঁড়াবে ১,২১০ কোটি টাকায়।
সম্প্রতি সেরেব্রাস কনসালট্যান্টস লিমিটেড কর্তৃক পরিচালিত এক সমীক্ষার ভিত্তিতে সিটি ব্যাংক তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বেতন পুনর্গঠন করেছে। বাজারের সঙ্গে বেতনের এই সমন্বয় আনয়নে যেসব কর্মীর বর্তমান বেতন বাজারের মানের তুলনায় কম ছিল, তাদের বেতন যথেষ্ট পরিমাণে বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে, যাদের বেতন বাজার গড়ের কাছাকাছি ছিল, তাদের বেতন কিছুটা কম বৃদ্ধি পেয়েছে।
ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার থেকে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত সব পদে বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ থেকে ৫০ শতাংশ, যার গড় বৃদ্ধি ২৩ শতাংশ। এ প্রকল্পের আওতায় সিটি ব্যাংকের সব কর্মীর অবস্থান নির্বিশেষে সর্বনিম্ন বেতন বেড়েছে ১০,০০০ টাকা, এবং সর্বোচ্চ বেড়েছে ৬০,০০০ টাকা পর্যন্ত। ব্যাংকের সাপোর্ট স্টাফ, আউটসোর্সড স্টাফ ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া স্টাফরাও এই বেতন বৃদ্ধির আওতায় পড়েছেন।
এ নতুন বেতন কাঠামো ১ নভেম্বর ২০২৪ থেকে কার্যকর হবে এবং ব্যাংকের কর্মীরা নভেম্বর মাসের বকেয়াসহ ডিসেম্বর মাসে নতুন বেতন পাবেন।
সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার বলেন, “আমাদের কর্মীরা সিটি ব্যাংকের মেরুদণ্ড। বাজারের অবস্থার সাথে বেতন-ভাতা সমন্বয় করে আমরা আমাদের ব্যাংকটিকে দেশের সেরা কর্মক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য রাখি।” সিটি ব্যাংকের এমডি এবং সিইও মাসরুর আরেফিন উল্লেখ করেন, “ব্যাংকের মুনাফা অনেক বেড়েছে। আমি এমডি হওয়ার আগের ৬৯৯ কোটি টাকার পরিচালন মুনাফা এবার ২০০০ কোটি টাকার বেশ ওপরে চলে যাচ্ছে। তাই এটি এখন আমাদের কর্মীদের নৈতিক অধিকার যে, তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে আরও ভালো থাকবেন।”