চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: টানা দ্বিতীয় দিনের মতো লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর কঠোর প্রতিরোধের মুখে পড়েছে দখলদার ইসরায়েলের সেনারা। গতকাল বুধবার হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলের অন্তত ৮ সেনা নিহত হয়। আজ বৃহস্পতিবারও তাদের বহু সেনা হতাহত হয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, সীমান্তে ইসরায়েলের গোলানি ব্রিগেডের সেনাদের ওপর বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে হিজবুল্লাহ। যা স্থল হামলায় নিয়োজিত ইসরায়েলের অন্যতম একটি চৌকস ব্রিগেড।
ইসরায়েলি টেলিগ্রাম চ্যানেলে বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, অনেক আহত এবং নিহত
সেনাকে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার করে উত্তর ইসরায়েলের হায়ফার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আলজাজিরা জানিয়েছে, দখলদার ইসরায়েল গত দুই সপ্তাহে ধরে বিমান হামলার মাধ্যমে তাদের শক্তি প্রদর্শন করছে এবং তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে তারা বিজয়ী হচ্ছে। কিন্তু স্থল হামলা চালাতে গিয়ে ‘বাস্তবতা’ টের পাচ্ছে। কারণ বিমান হামলা আর আকাশ হামলা পুরোপুরি ভিন্ন।
এমনকি যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়া প্রত্যেক ইসরায়েলি সেনা এটি জানেও হামাস আর হিজবুল্লাহ এক নয়। হিজবুল্লাহ হামাসের যে অনেক শক্তিশালী এবং লড়াই করার প্রশিক্ষিত বাহিনী।— জানিয়েছে আলজাজিরা।
আলজাজিরার সাংবাদিক স্টেফানি ডেক্কার বলেছেন, ইসরায়েলি সেনাদের হতাহত হওয়ার বিষয়টি যদি ঘটতে থাকে এবং তাদের অনেক সেনা নিহত হতে থাকে। তাহলে সাধারণ ইসরায়েলিদের মধ্যে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা বদলে যাবে।
এদিকে গতকাল বুধবার প্রথমবারের মতো লেবাননের ভেতর ঢোকার চেষ্টা করে ইসরায়েলি সেনারা। তারা ভেবেছিল গাজার মতো লেবাননেও সহজে ঢুকে যেতে পারবে। কিন্তু প্রথমদিনই হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের হাতে হতাহতের শিকার হয় তারা।