শিরোনাম

সুনীল অর্থনীতিকে কাজে লাগাতে গবেষণায় সাপোর্ট দিতে হবে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

Views: 39

বরিশাল অফিস :: সুনীল অর্থনীতি কাজে লাগানোর উপর জোর দিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমরা সুনীল অর্থনীতি নিয়ে কাজ করব। আর সুনীল অর্থনীতিকে দেশের মূল অর্থনীতিতে কাজে লাগাতে গবেষণায় সাপোর্ট দিতে হবে। কারণ গবেষকদের জন্য দেশ এগিয়ে যেতে পারছে।

প্রতিমন্ত্রী আজ বুধবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিশ্ব মহাসাগর দিবস’ উপলক্ষে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ‘বায়োডাইভারসিটি এন্ড মেরিন রিসোর্সেস’ শিরোনামে ব্রেকআউট সেশনে চেয়ারপারসনের বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এর সহায়তায় পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ “ওসান প্রোসপারিটি: ক্যাটিলাইজিং ব্লু ইকনোমি ইন বাংলাদেশ” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুনীল অর্থনীতিতে অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা অনেকটা পিছিয়ে আছি। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা ‘শূন্য’ ছিল। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা ইত্যাদির অভাবের মধ্যেও বঙ্গবন্ধু ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটার্স এন্ড মেরিটাইম জোনস এক্ট’ প্রণয়ন করেন। ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সে এক্ট বা অন্যসব ক্ষেত্রে দেশ এগোতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা সেটেলড করেন। প্রধানমন্ত্রী সুনীল অর্থনীতির খসড়া অনুমোদন করে দিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ বান্ধব আমাদের সোনালী আঁশ পাটকে রক্ষা করা যায়নি। যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে হারিয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুর পরে আমরা যোগ্য নেতৃত্ব পাইনি। এখন আমাদের সৌভাগ্য যে, আমরা যোগ্য নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনাকে পেয়েছি। তিনি ছোট্ট ভূখ-কে উন্নয়নের পথে নিয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক নৌসংস্থায় ‘সি’ ক্যাটাগরিতে আমরা সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। এর মূল কাজ সমুদ্র পরিবহন পরিবেশ সম্মত এবং ফ্রেন্ডলি হওয়া’’ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের সমুদ্রে অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। এটাকে কাজে লাগিয়ে সুনীল অর্থনীতিতে এগিয়ে নিতে পারলে সার্থকতা খুঁজে পাবো।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) ড. মো. এমদাদ উল্লাহ মিয়া, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) মো: মোস্তাফিজুর রহমান, ফিলিপাইনের সহকারী অধ্যাপক জন ভার্ডিন, চীনের প্রফেসর উইডং ইউ, থাইল্যান্ডের প্রফেসর সুরিয়ান টুংকিজিয়ানুকিজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক মো. মনিরুল ইসলাম অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আমিনুর রহমান

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *