সুপারফুড এমন ধরনের খাবার, যা কম ক্যালোরিতে সর্বাধিক পুষ্টি সরবরাহ করে। এতে থাকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ। সাধারণত এগুলোকে স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু সুপারফুড বেশি পরিমাণে খেলে বা শরীরের নির্দিষ্ট সংবেদনশীলতা থাকলে হজমের জটিলতা তৈরি হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন সুপারফুডগুলো হজমের সমস্যার কারণ হতে পারে।
ক্রুসিফেরাস শাক-সবজি যেমন ব্রকলি, ফুলকপি প্রভৃতি পুষ্টিগুণে ভরপুর। তবে এতে থাকা ফাইবার এবং রাফিনোজ নামক শর্করা অনেকের ক্ষেত্রে গ্যাস ও ফুলাভাবের সৃষ্টি করতে পারে।
চিয়া সিড ওমেগা-৩ এবং ফাইবারে সমৃদ্ধ। এটি শরীরে প্রচুর পানি শোষণ করে। যদি পর্যাপ্ত পানি না পান করা হয় বা অতিরিক্ত খাওয়া হয়, তবে পেট ফোলার ঝুঁকি বাড়ে।
বাদাম এবং বীজ উচ্চমাত্রার ফ্যাট ও ফাইবারের কারণে হজম করতে সময় নিতে পারে। অতিরিক্ত খেলে এগুলো পেট খারাপ বা গ্যাসের কারণ হতে পারে।
দুগ্ধজাত খাবার প্রোবায়োটিকের কারণে অন্ত্রের জন্য উপকারী হলেও ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স রয়েছে এমন ব্যক্তিদের জন্য এটি হজমের জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
কাঁচা রসুন ও পেঁয়াজে থাকা ফ্রুকটান নামক কার্বোহাইড্রেট অনেকের পেটে গ্যাস, ফুলাভাব বা ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে।
লেগুম, যেমন মসুর ডাল, ছোলা বা মটরশুটি ফাইবার ও প্রোটিনে সমৃদ্ধ। তবে এগুলোতে থাকা অলিগোস্যাকারাইড অন্ত্রে গাঁজনের মাধ্যমে গ্যাস ও ফোলাভাব সৃষ্টি করতে পারে।
গ্লুটেন-মুক্ত শস্য পুষ্টিকর হলেও যারা উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবারে অভ্যস্ত নন বা সংবেদনশীল তাদের জন্য এটি হজমে অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, এসব খাবার পরিমিত পরিমাণে এবং শরীরের সাথে সামঞ্জস্য রেখে খেলে এই সমস্যাগুলো এড়ানো সম্ভব।
মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম