সুস্থ জীবনযাপনের জন্য সবুজ শাকসবজি ও ফল খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, প্রোটিন, ফাইবার এবং বিভিন্ন খনিজ উপাদান। তবে বাজার থেকে কেনা এই শাকসবজি ও ফলে প্রায়শই কীটনাশকের উপস্থিতি দেখা যায়, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই বিষাক্ত কীটনাশক যদি রক্তে মিশে যায়, তাহলে ক্যানসারসহ নানা জটিল রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই ফল ও সবজি খাওয়ার আগে সঠিক পদ্ধতিতে তা পরিষ্কার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কোন কোন শাকসবজিতে বেশি কীটনাশক থাকে?
পালং শাক
বাজার থেকে কেনা বেশিরভাগ পালং শাকে পার্মাথ্রিন নামক কীটনাশকের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এটি এক ধরনের নিউরোটক্সিন, যা স্নায়ুতে মারাত্মক প্রভাব ফেলে এবং ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বাড়ায়। তাই শাক রান্নার আগে লবণ-পানিতে ভিজিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
আঙুর ও আপেল
আঙুর ও আপেলের গায়ে ডাইফিনাইলঅ্যামাইন নামক রাসায়নিক পাওয়া যায়, যা মানুষের শরীরের জন্য চরম ক্ষতিকর। অনেকে আঙুর বা আপেল না ধুয়ে সরাসরি খেয়ে থাকেন। এতে শরীরে বিষ প্রবেশের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই এসব ফল পানিতে ভিজিয়ে রেখে তারপর ধুয়ে খাওয়া উচিত।
পেয়ারা
পেয়ারা অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল হলেও এর গায়ে কীটনাশকের উপস্থিতি থাকে। যদি ভালোভাবে না ধুয়ে খাওয়া হয়, তাহলে লিভারের গুরুতর অসুখ হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
ফল ও সবজি কীটনাশকমুক্ত করার ঘরোয়া পদ্ধতি
১. বেকিং সোডার দ্রবণ ব্যবহার
এক চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে পানির একটি দ্রবণ তৈরি করুন। এতে সবজি বা ফল ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিন। এতে ৯০ শতাংশ কীটনাশক দূর হয়ে যাবে।
২. ভিনেগার ও লবণের মিশ্রণ
সম পরিমাণে ভিনেগার ও পানি মিশিয়ে দ্রবণ তৈরি করুন। এতে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে দিন। এবার ফল বা সবজি এই দ্রবণে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। পরে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিন।
সতর্কতা
কোনো রাসায়নিক মিশ্রিত দ্রবণ ব্যবহার করবেন না। এই প্রক্রিয়াগুলো প্রয়োগ করলে ফল ও শাকসবজি নিরাপদভাবে খাওয়ার উপযোগী হবে।
—