শিরোনাম

সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রল, নিজেকে সামলাবেন যেভাবে

Views: 25

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রল করা যেন একেবারে সাধারণ একটি ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছুটা বিনোদনের অংশ হিসেবে ট্রল করা হয়ে থাকলেও, যখন তা সীমা অতিক্রম করে, তখন অনেকেই সেটি সামলাতে পারেন না। ট্রল সাধারণত অন্যদের মনে কষ্ট দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা হয় এবং এটি একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেওয়ার পর যদি কেউ নেতিবাচক মন্তব্য করে, তা মুহূর্তেই হাজার হাজার মানুষের কাছে ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে ব্যক্তি জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করে। বিশেষ করে ট্রলিংয়ের মূল উদ্দেশ্য থাকে বিরক্ত করা বা প্রতিক্রিয়া পাওয়া। তাই এই পরিস্থিতি মোকাবেলার কিছু উপায় রয়েছে:

### ১. ইগনোর স্ট্র্যাটেজি
ট্রলিংয়ের মূল উদ্দেশ্য হলো বিরক্ত করা। তাই অনেক সময় ইগনোর করা সবচেয়ে ভালো পদক্ষেপ হতে পারে। যদি আপনি প্রতিক্রিয়া না দেন, তাহলে ট্রলিং করা ব্যক্তি আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে।

### ২. আত্মবিশ্বাস বজায় রাখা
ট্রলিং বা নেতিবাচক মন্তব্য আপনার আত্মবিশ্বাসকে প্রভাবিত করতে পারে। কিন্তু মনে রাখবেন, আপনার মূল্যবানতা অন্যের কথার ওপর নির্ভর করে না। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী থাকুন এবং নেতিবাচকতা থেকে দূরে থাকুন।

### ৩. নেতিবাচক মন্তব্য ডিলিট বা ব্লক করা
যদি কেউ বারবার বিরক্ত করে বা অযৌক্তিকভাবে ট্রল করে, তাহলে তাকে ব্লক বা রিপোর্ট করতে পারেন। অধিকাংশ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এই ধরনের অপশন রয়েছে, যা আপনাকে ট্রল থেকে রক্ষা করতে পারে।

### ৪. সমর্থন নেটওয়ার্কে বিশ্বাস রাখা
পরিবার, বন্ধুবান্ধব বা অনুরাগীদের কাছ থেকে ইতিবাচক সমর্থন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তাদের কাছ থেকে পাওয়া উৎসাহ আপনার মানসিক শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে।

### ৫. পেশাদার সহায়তা নেওয়া
যদি ট্রলিং বেশি সিরিয়াস হয় বা মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে পেশাদার কাউন্সেলিং বা সাইকোলজিস্টের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। তারা মানসিক চাপ মোকাবেলায় আপনাকে গাইড করতে পারবে।

### ৬. হিউমার ব্যবহার করা
কখনও কখনও ট্রলের উত্তরে বুদ্ধিমত্তা ও হিউমার দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো ট্রলিংয়ের প্রভাব কমাতে পারে। তবে এটি খুব সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে যাতে তা অপমানজনক না হয়ে যায়।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *