মো: আল-আমিন (পটুয়াখালী): জাতীয় সংসদের ১১৪, পটুয়াখালী-৪ নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্রপ্রার্থী মোঃ মাহবুবুর রহমান তাঁর ফেসবুক আইডিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বিকৃত করে তার হাতে ঈগল রেখে ভোটারদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন।
এতে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব তালুকদার বলেন, ‘১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের দিন জেলা রিটার্নিং অফিসার স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রচারণায় দলীয় পদ পদবী, দলীয় প্রধানের ছবি ব্যবহার, দলীয় স্লোগান ব্যবহার না করার ব্যাপারে স্পষ্টত বলে দেন। তবে জয় বাংলা উচ্চারণে বাঁধা নেই, এটি রাষ্ট্রীয় স্লোগান।’
মোতালেব তালুকদার জানান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা। আর দলের প্রধান শেখ হাসিনা।
সেক্ষেত্রে আচরণবিধি অনুযায়ী শুধুমাত্র নৌকাকে শেখ হাসিনার ছবির সঙ্গে যুক্ত করে প্রচারণা চালানো যাবে। অন্য কোন প্রতীকের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করে প্রচারণা চালানো আচরণবিধি লঙ্ঘন।
আর যেখানে প্রার্থী নিজেই তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এই চিত্র ব্যবহার করে ভোট প্রার্থনা করেছেন, সেহেতু আচরণবিধি অবশ্যই লঙ্ঘন হয়েছে।
মোতালেব তালুকদার আরো বলেন, এছাড়া মাহবুবুর রহমান যেহেতু দলের পদে আছেন, সেক্ষেত্রে তিনি দলীয় শৃঙ্খলাও ভঙ্গ করেছেন। আমরা সাংগঠনিক ভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো এবং সেই সাথে নির্বাচন কমিশন বরাবরও লিখত অভিযোগ দেবো।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও কলাপাড়া ইউএনও মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী কোন দলের প্রধানের ছবি ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবে না। কেউ এ ধরণের কাজ করলে সেটি আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পড়বে। প্রার্থী নিজে তার ফেসবুক আইডিতে এ ধরনের চিত্র পোস্ট করে থাকলে, সেটি আমরা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এদিকে এ অভিযোগ ওঠার পর স্বতন্ত্রপ্রার্থী মোঃ মাহবুবুর রহমানের ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর বিকৃত ওই ছবিটা সরিয়ে ফেলা হয়। এ বিষয়ে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান, এটা অন্য কেউ করতে পারেন, কিন্তু এর দায় ভার আমার নয়। আমি এ ধরনের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই।
পটুয়াখালী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ নূর কুতুবুল আলম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। তথ্য, প্রমাণসহ অভিযোগ পেলে ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির কাছে প্রেরণ করা হবে, বিষয়টি তারা দেখবেন।