প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “ডা. মিলনের আত্মত্যাগ ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চার করে।” তিনি তার এক বাণীতে বলেন, ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের একটি সভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ঘাতকদের গুলিতে শহিদ হন ডা. শামসুল আলম খান মিলন।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “ডা. মিলন যেদিন শহিদ হন, সেদিনই দেশে জরুরি আইন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু জরুরি আইন ও কারফিউ উপেক্ষা করে ছাত্র-জনতা বারবার রাজপথে মিছিল নিয়ে নেমে আসে। এর ফলে স্বৈরশাসকের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়।”
তিনি আরও বলেন, “কিন্তু গত দেড় দশকে দেশে নতুন এক স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে ফ্যাসিস্ট সরকারের উৎখাতের পর বাংলাদেশ নতুনভাবে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে যাত্রা শুরু করেছে।”
প্রফেসর ইউনূস বলেন, “১৯৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পেশাজীবী নেতা ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।”
তিনি ডা. মিলনের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
ডা. শামসুল আলম খান মিলন ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম-মহাসচিব এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক।
মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম