পটুয়াখালী প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীতে প্রচুর তরমুজ থাকলেও ক্রেতার অভাবে একেবারেই দাম নেই। পচনশীল হওয়ায় পানির দামেই পাইকারদের কাছে অনেকে ছেড়ে দিচ্ছেন তরমুজ। ফলে মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের।
কৃষকেরা জানান, তরমুজের এখন যা পাইকারি দাম তাতে উৎপাদন খরচ তো দূরের কথা, পরিবহন খরচই উঠছে না। তরমুজ বিক্রি করে গাড়ি ভাড়ার খরচ দিয়ে পকেট শূন্য।
হঠাৎ দরপতন হওয়ার কারণ হিসেবে পটুয়াখালী চরবিশ্বাস এর কৃষক শামীম পালোয়ান জানান, ব্যাপারীরা যারা ক্ষেত কিনে রেখেছিলেন তারা গত দুই দিন বৈরি আবহাওয়ার কারণে অপরিপক্ক সহ সব তরমুজ কেটে বাজারে নিয়ে গেছেন। বাজারে তরমুজ সরবরাহ থাকলেও ক্রেতা নেই। কাঁচা থাকার কারণে ক্রেতারা তরমুজ কিনছেন না।
আরো পড়ুন :বাজারে এসেই জাটকা হয়ে যাচ্ছে ‘চাপিলা মাছ’
ফরহাদ নামের আরেক কৃষক জানান, ক্ষেতে এখনো ৪০ থেকে ৫০ ভাগ তরমুজ রয়েছে। দাম কমে যাওয়ায় ক্ষতি হচ্ছে। এক ট্রাক তরমুজ কয়েকদিন আগেও বিক্রি করছি ৭/৮ লাখ টাকায়। এখন বিক্রি হচ্ছে ২/৩ লাখ টাকা। ক্ষেতের তরমুজ ৪/৫ দিনের মধ্যে পেকে যাবে। তখন তরমুজ সরবরাহ আরো বাড়বে। তখনো দাম কম থাকলে কৃষকেরা পকেটের টাকা গচ্চা দিয়ে তরমুজ নিয়ে বাজারে হয়তো যাবেন না। তখন ক্ষেতেই ক্ষেতেই পঁচে যাবে।
কৃষকেরা জানান, সবচেয়ে ভালো মানের ৮-১২ কেজি ওজনের ১০০টি তরমুজ পাইকারি বিক্রি ছিল ৪ হাজার টাকা, যা এখন কমে হয়েছে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা।
এলাকা ঘুরে জানা গেছে, পটুয়াখালীতে এবার আগাম তরমুজের বাম্পার ফলন হলেও শেষ মুহূর্তে দাম হঠাৎ কমে যাওয়ায় চরম হতাশ কৃষকেরা। নিদারুণ কষ্ট- রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে এবং নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে উৎপাদিত এ ফসলের মূল্যপতন নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ঝেড়েছেন তারা।