পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: মাহফিলের কমিটি নিয়ে পটুয়াখালীর দুমকীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত মোশারেফ মুন্সি (৫০) নামের একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর পরে ওই মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ মে) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ হান্নান। এর আগে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন বাবা আ. ছত্তার হাওলাদার (৫৫) ও ছেলে মো. সালাউদ্দিন বাপ্পী (৩৫)। তারা পটুয়াখালী জেলা সদর থানাধীন পুরাতন ফেরিঘাটের মাঝগ্রামের বাসিন্দা।
ওসি বলেন, র্যাব-৮ ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করে দুমকী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অপর আসামিদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
আরো পড়ুন : কলাপাড়ায় মামার বাসা থেকে কলেজ শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
উল্লেখ্য, উপজেলার পূর্ব কার্তিকপাশা গ্রামের মরহুম আব্দুল গনি মাওলানার ছেলে মাওলানা মো: নেছার স্থানীয় একটি মাদরাসা মাঠে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করেন। কিন্তু সেই মাহফিলের কমিটিতে মুন্সি বাড়ির লোকজনের নাম না রাখায় নেছার মাওলানা পক্ষ ও সোবাহান মুন্সি পক্ষে মাঝে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার জেরে ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় মুন্সির বাজারে উভয়পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা, রামদা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হলে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন, উভয়পক্ষ দুমকী থানায় মামলা করে।
একজন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি থাকা অবস্থায় আহত মোশারেফ মুন্সি ৭ মে রাত সাড়ে ১২টার দিকে মারা যান। পরে মোশারেফ মুন্সির মৃত্যুতে পেনাল কোড সংযোজিত হয় এবং আসামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়।