চন্দ্রদ্বীপ ক্রীড়া :: ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে এমপির আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলায় দায়ের হয়েছে। গার্মেন্টসকর্মী রুবেলকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে সাকিব আল হাসানকে মামলার ২৮ নম্বর এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে সাকিব দেশে ফিরলে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। তবে ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, সাকিবের দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শেষে হয়তো পরিবারের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাবেন তিনি। যদিও এই ব্যাপারে এখনো কিছুই বলছে না বিসিবি।
এর আগে, ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সাবেক পেসার রুবেল হোসেন। তবে চারদিন হাজত খেটে জামিনে মুক্ত হয়ে ২০১৫ বিশ্বকাপে খেলেছিলেন তিনি। অন্যদিকে, আগাম জামিন নিয়েও খেলা চালিয়ে যেতে পারেন সাকিব। তাছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পুরো সময়ে দেশে ছিলেন না এই অলরাউন্ডার। তাই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকার প্রমাণ দিয়ে জামিন পেতে পারেন তিনি। আর অভিযোগ খারিজ হলে বিষয়টি এমনিতেই নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার গার্মেন্টসকর্মী রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছন। মামলার ২৮ নম্বর আসামির ঠিকানা লেখা রয়েছে, মো. সাকিব আল হাসান, সাবেক সংসদ সদস্য, পিতা. মাশরুর রেজা, সাং-সাহাপাড়া, নতুন বাজার, ডাকঘর: মাগুরা। এছাড়া এই মামলার বাকি আসামিরা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ আরও ১৫৬ জন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করে বলেন, গত ৫ আগস্ট রুবেল আদাবরের রিংরোডে প্রতিবাদী মিছিলে অংশ নেন। এ সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ, প্ররোচনা, সাহায্য, সহযোগিতা ও প্রত্যক্ষ মদদে কেউ মিছিলে গুলি ছুড়ে। বুকে ও পেটে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রুবেলকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসারত অবস্থায় ৭ আগস্ট মারা যান।