পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় হালুয়া ইউনিয়নের হাসনাপাড়া গ্রামে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সুমী বেগম নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সুমীর স্বামীসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে কলাপাড়া উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে সুমীর মরদেহ ফেলে পালিয়ে যান স্বামী ইব্রাহিম প্যাদা ও তার ভাই সাইদুল।
পরে খবর পেয়ে কলাপাড়া থানা পুলিশ নিহত সুমীর মরদেহ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে। শুক্রবার তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, সুমীকে বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করতো। তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে, এ বিষয়ে তদন্ত দাবি করেন তারা ।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহম্মদ সাংবাদিকদের জানান, নিহত গৃহবধূর ভাই পলাশ হাওলাদার আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে তিনজনের নামে কলাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এ ঘটনায় ইব্রাহিম প্যাদা ও সাইদুলকে আটক করেছে। কেন কি কারণে সুমী মারা গেছেন তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।