বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদচ্যুতি এবং তার ভারত পালানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা গুঞ্জন ও জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা হাসিনাকে উৎখাতে সক্রিয় ছিল। তবে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান আবারও এ ধরনের অভিযোগ খারিজ করেছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ধরনের ভূমিকা নেই এবং ভারতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এ ব্যাপারে একমত।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউসের রুজভেল্ট রুমে সাংবাদিকদের এক নির্বাচিত দলের সঙ্গে কথা বলার সময় সুলিভান বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ভারতীয় শীর্ষ কর্মকর্তাদেরও বিশ্বাস রয়েছে যে, এসব ধারণা ভিত্তিহীন এবং ভুয়া।”
এটা নতুন কিছু নয়, এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে হাসিনাকে উৎখাতে তাদের কোনো ভূমিকা নেই বলেও জানানো হয়েছিল। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ-পিয়েরে গত বছর আগস্টে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। যদি কোন প্রতিবেদনে বা গুজবে বলা হয় যে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এ ঘটনায় জড়িত ছিল, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
এদিকে, কিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি ছিল যে, হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ভারতীয় ইকোনমিক টাইমস পত্রিকায় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন। পত্রিকাটি বলেছিল, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অনুপ্রবেশ করতে চায় এবং এ কারণে তারা হাসিনাকে উৎখাতে ভূমিকা রেখেছিল। তবে হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ এক সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া পোস্টে দাবি করেন, তার মা কখনোই এমন কোনো বক্তব্য দেননি।
সুলিভান ভারত সফরের সময় এই ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন, “এ ধরনের গুজবের কোনো ভিত্তি নেই।”
মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম