জাতীয় নাগরিক কমিটির মূখ্য সংগঠন সারজিস আলম দাবি করেছেন, বছরের পর বছর ধরে খুনি শেখ হাসিনার হাত থেকে অত্যাচারিত হয়ে আসছে দেশের মানুষ। গোলাপগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মানুষ ছিল হাসিনার ক্ষমতার শিকার। তিনি বলেন, হাসিনার খুনির দোসররা মাদরাসার ছাত্রদের টার্গেট করে গুলি করত, এবং এজন্য ছাত্ররা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য পাঞ্জাবি পাজামা না পরে টিশার্ট গায়ে দিয়ে আন্দোলনে যোগ দিত। এমন পরিস্থিতি শুধু মাদরাসা নয়, স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) ময়মনসিংহ নগরীর অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত “২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে ও ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ জুলাই বিপ্লবোত্তর আকাঙ্ক্ষা ও সম্ভাবনা” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম আরও বলেন, “আমরা অনেক জীবন ও রক্ত দিয়েছি, কিন্তু আমাদের আকাঙ্ক্ষা এখনো পূর্ণ হয়নি। শহীদদের পরিবারের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, খুনি হাসিনার দোসরদের বিচার হওয়া উচিত, কিন্তু বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের অনেক রাজনৈতিক দল এখনো আওয়ামী লীগের দোসরদের মদদ দিচ্ছে। সংস্কারের কথা বলছি, কিন্তু যারা এসব করছে তাদের বিরুদ্ধে কেন কথা বলছি না? তাদের বিরুদ্ধে কথা না বললে অভ্যুত্থানের কোনো সফলতা আসবে না।”
তিনি সরকারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, সিন্ডিকেট এবং পণ্যের দাম বাড়ানোর বিষয়টিও উত্থাপন করেন। তার মতে, “চাঁদাবাজি হচ্ছে, এবং প্রতিটি বাজারে এর জন্য পণ্যের দাম বাড়ছে। সরকারকে দোষারোপ করলে লাভ হবে না।”
সারজিস আলম আরও বলেন, “আজকের দিনেও হাসিনার দোসররা যাদের টার্গেট করেছে, তাদের মেরেছে। আমরা চাই না, ভবিষ্যতে এমন কিছু ঘটুক। ২৪ সালের অভ্যুত্থান সেই ফলাফল হতে যাচ্ছে। আমরা কাউকে ছাড় দেব না। প্রতিবাদ করতে হবে, বুক চিতিয়ে, দেশ ও মানুষের জন্য।”
“মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম”