শিরোনাম

হাসিনার সঙ্গে ফোনালাপ, সাবেক চেয়ারম্যান ও তার ছেলের নামে মামলা

Views: 24

 

বরিশাল অফিস :: ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালানো সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোন কলে কথা বলার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করা বরগুনার সদ্য সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও তার ছেলের নামে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছে বরগুনা সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক।

বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. গোলাম ফারুক বুধবার (২১ আগস্ট) নালিশি মামলায় আনা অভিযোগ তদন্ত করে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।

মামলার বিবাদী হলেন- বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গির কবির ও তার ছেলে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের আদনান অনিক।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী নাজমুল হাসান বলেন, নালিশি আবেদনে আসামি মো. জাহাঙ্গির কবির ও জুবায়ের আদনান অনিক তাদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর দিয়ে ভিডিও কলে কথা বলার বার্তা পরস্পরের নিজ নিজ মোবাইল নম্বর দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তদন্তের প্রয়োজন।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা আছে কিনা সেই বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বরগুনা সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নালিশিতে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ১২ আগস্ট রাত ৮টা ১০ মিনিটে আসামি জাহাঙ্গির কবির বরগুনা পৌর এলাকার আমতলার পাড় সড়কের নিজ বাসভবনের ড্রয়িং রুমে বসে দেশ ছেড়ে পালানো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনালাপ করেন।

সেখানে জাহাঙ্গির কবির শেখ হাসিনাকে বলেন, ‘আপা আপনি ঘাবড়াবেন না, মনোবল হারাবেন না। আপনি ঘাবড়ালে আমরা দুর্বল হয়ে যাই। আমরা শক্ত আছি। যা প্রয়োজন তা করবো। শেখ হাসিনা বলেন, আমি ঘাবড়াবো কেন। আমি ভয় পাইনি। আপনারা দেখছেন আমাদের কর্মীদের মেরেছে। বোরকা পড়ে মেরেছে। আরও অনেক কথাবার্তা বলেছেন। ফোনালাপের এ দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে ফেসবুকে প্রকাশ করে সারা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। যা দেশ ও জন সাধারণের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বিরাজ করছে।

বেঞ্চ সহকারী আরও জানান, মামলায় মোট ৩১ জনকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু বাকি ২৯ জনের বিরুদ্ধে কোনো তথ্য প্রমাণাদি না দেওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেননি। তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *