এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তে বাড়ছে বিস্তৃত সংঘাতের ঝুঁকি। আর এমন অবস্থায় ইরান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধে ইসরায়েলের ‘চূড়ান্ত পরাজয়’ হবে।
শনিবার (২২ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহ নিজেকে এবং লেবাননকে রক্ষা করতে সক্ষম বলে জানিয়েছে ইরান। একইসঙ্গে ইসরায়েলকে সতর্ক করে দেশটি বলেছে, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীর সাথে সর্বাত্মক যুদ্ধে ইসরায়েলের ‘চূড়ান্ত পরাজয়’ হবে।
ইরানের এই হুঁশিয়ারি এমন এক সময়ে সামনে এলো যখন লেবাননে ইসরায়েলের বড় ধরনের হামলার আশঙ্কা বাড়ছে।
গত শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের মিশন বলেছে, ‘নিজেকে বাঁচাতে দখলদার ইসরায়েলের যেকোনও দুরভিসন্ধিমূলক সিদ্ধান্ত এই অঞ্চলকে একটি নতুন যুদ্ধে নিমজ্জিত করতে পারে, যার পরিণতিতে লেবাননের অবকাঠামো এবং সেইসাথে ১৯৪৮ সালের অধিকৃত অঞ্চলগুলোর ধ্বংস হতে পারে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘সম্ভাব্য এই যুদ্ধে নিঃসন্দেহে একটি পক্ষের চূড়ান্ত পরাজয় হবে এবং সেটি হবে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের। হিজবুল্লাহর নিজেকে এবং লেবাননকে রক্ষা করার ক্ষমতা রয়েছে। সম্ভবত এই অবৈধ সরকারের পতনের সময় এসেছে।’
অবশ্য ইসরায়েল গত শুক্রবার ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহকে হুমকি দিয়েছে এবং লেবাননের ইরান-সমর্থিত শক্তিশালী সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মোকাবিলা করার বিষয়ে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, ‘শিগগিরই আমরা প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেব’।
তিনি বলেন, ‘মুক্ত বিশ্বকে অবশ্যই ইরান এবং চরমপন্থি ইসলামের নেতৃত্বে মন্দ অক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েলের সাথে নিঃশর্তভাবে দাঁড়াতে হবে। আমাদের যুদ্ধও আপনার যুদ্ধ।’
অন্যদিকে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ এই সপ্তাহে বলেছেন, যদি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী লেবাননে যুদ্ধে জড়ায় তবে তার দল ইসরায়েলের পুরো ভূখণ্ডজুড়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার জন্য তার রকেট এবং ড্রোন ব্যবহার করবে।
হিজবুল্লাহ ‘কোনও ধরনের সংযম এবং কোনও নিয়ম বা সীমা ছাড়াই’ যুদ্ধ করবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
এছাড়া হাসান নাসরাল্লাহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য সাইপ্রাসের প্রতিও হুমকি দিয়েছেন। এই দেশটি লেবানিজ ও ইসরায়েলি উপকূলের পশ্চিমে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে অবস্থিত। তিনি বলেন, ইসরায়েল সাইপ্রাসে দক্ষিণ লেবাননের মতো ভূখণ্ডে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে বলে হিজবুল্লাহর কাছে তথ্য রয়েছে।
নাসরাল্লাহ আরও বলেছেন, গুরুতর যুদ্ধের সময় নিজস্ব অবকাঠামো লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হলে ইসরায়েল সাইপ্রাসের বিমানবন্দর এবং ঘাঁটি সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার পরিকল্পনা তথ্য রয়েছে