চন্দ্রদ্বীপ আন্তর্জাতিক :: ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননে হামলা চালানো শুরু করেছে। গত দুই দিনের ইসরাইলের হামলার বিষয়ে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহর ‘রেড লাইন ক্রস’ করেছে বলে সতর্ক করার পর এই হামলা শুরু করল।
হিজবুল্লাহ প্রধান সতর্ক করা সত্ত্বেও আবারও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এমনকি নাসরাল্লাহর ভাষণ সম্প্রচারিত হওয়ার সময়ও বৈরুতে হামলা চালাচ্ছিল ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, লেবাননে দুই দিনের নজিরবিহীন হামলার পর বৃহস্পতিবার ( ১৯ সেপ্টেম্বর) প্রথম টেলিভিশনে বক্তৃতা দেন নাসরাল্লাহ। তিনি বলেন, হাজার হাজার লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পেজার এবং রেডিও ব্যবহার করে ইসরায়েলের বোমা হামলা সমস্ত রেড লাইন অতিক্রম করেছে।
তিনি আরও বলেন, কোন সন্দেহ নেই যে আমরা একটি বড় নিরাপত্তা ও সামরিক আঘাতের শিকার হয়েছি যা প্রতিরোধের এবং লেবাননের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
লাল পটভূমির সামনে প্রথাগত কালো পাগড়ি পরে টেলিভিশনে ভাষণ দেন নাসরাল্লাহ। ভাষণে তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলি হামলায় পিছু হটবে না হিজবুল্লাহ। শত্রু নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টকে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেছেন, ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লেবানন এখানেই থামবে না। গাজা ও পশ্চিম তীরের মানুষকে সমর্থন দিয়ে যাবে লেবাননের প্রতিরোধী বাহিনী।
এর আগে মঙ্গলবার ( ১৭ সেপ্টেম্বর) লেবাননে হিজবুল্লাহর ব্যবহার করা হয়েক হাজার পেজারে আগে থেকে ছোট ছোট বিস্ফোরক ঢুকিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরদিন হিজবুল্লাহর ওয়াকিটকি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই দুই হামলায় কমপক্ষে ৩৭ জন নিহত হন। এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে লেবানন।
বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৯০০ জন। যাদের মধ্যে ২৮৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই হামলার মধ্য দিয়ে ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর ১১ মাস ধরে চলা প্রতিদিনের গুলি বিনিময়ের ঘটনা একটি সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে।
তবে ইসরায়েল এখনও এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি।